অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর, স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে। এর আগে তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজকে দুদকের এক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি তার রিমান্ড শুনানি হবে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ও সন্ধ্যায় পৃথকভাবে এসব আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন।

এদিন সকালে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মতিউর রহমানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। রাজধানীর ভাটারা থানায় করা অস্ত্র আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে এনবিআরের সাবেক এ কর্মকর্তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায়। বুধবার সকালে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু, আদালত রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি লায়লা কানিজকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করার এবং অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা সম্পদের মালিকানা অর্জন করার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭ (১) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় সূত্রস্থ মামলাটি রুজু করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। আসামি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করেছেন বলে দেখা যায়। ওই ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা উদঘাটন করা প্রয়োজন। এছাড়া তার অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়টিও উদঘাটন করা প্রয়োজন বিধায় এ মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।


আমার বার্তা/এমই