ইমরানের নির্দেশে সংসদীয় কমিটি ছাড়লেন পিটিআই আইনপ্রণেতারা
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশে দলটির একাধিক সংসদ সদস্য জাতীয় পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে পিটিআইয়ের চলমান রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন। এর মধ্যেই দলটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নেবে না। খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
ইতোমধ্যে পিটিআই এমপি আলি আসগর, সাজিদ খান, শাহিদ খাট্টাক, ফয়সাল আমিন খান এবং আসিফ খান পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আলি আসগর মন্ত্রিসভা, বেসরকারিকরণ এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সাজিদ খান প্রবাসী, জাতীয় ঐতিহ্য ও কাশ্মীর-সম্পর্কিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করে বলেন, ইমরান খান নির্দেশ দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দিতে প্রস্তুত।
খাইবার পখতুনখোয়া মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুরের ভাই ফয়সাল আমিন খান অর্থনৈতিক বিষয়ক, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সংসদীয় টাস্কফোর্স কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শাহিদ খাট্টাক জানিয়েছেন, তিনি সব স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগ করছেন। অন্যদিকে আসিফ খান শিক্ষা, জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং তথ্য ও সম্প্রচার কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
এছাড়া জুনায়েদ আকবর সরকারি হিসাব কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দলের প্রধান হুইপ আমির দোগারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পিটিআই সূত্র জানিয়েছে, এটি দলের রাজনৈতিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। দলীয় মুখপাত্র শেখ ওয়াকাস আকরামও জাতীয় পরিষদের সব স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং তাঁর পদত্যাগপত্র স্পিকার আয়াজ সাদিকের কাছে পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে স্পিকার ফয়সাল ও আলি আসগরের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইমরান খান পিটিআই নেতাদের বিচারিক কমিশন থেকেও পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও দলের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর খান ও সিনেটর আলি জাফর কমিশনের সদস্য, কিন্তু সূত্র জানায়, ব্যারিস্টার গওহর এখনো পদত্যাগে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে পিডিএম নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে পিটিআই পাঞ্জাব ও খাইবার পখতুনখোয়া প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেয়। বর্তমানে দলটি জানিয়েছে, আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ এসব আসনে যারা অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন, তারাই পিটিআইয়ের কাছে আসল প্রতিনিধি। সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৯ মে দাঙ্গা-সম্পর্কিত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কয়েকজন পিটিআই সংসদ সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করে, যার ফলে একাধিক আসন শূন্য হয়ে যায়।
এদিকে ক্ষমতাসীন জোট পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ঘোষণা দিয়েছে, তারা যৌথভাবে দেশজুড়ে উপনির্বাচনে অংশ নেবে।
আমার বার্তা/জেএইচ