ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী কমেছে ১০ লাখেরও বেশি

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ছিল অভিবাসীর সংখ্যা। কিন্তু গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই শুরু হয়েছে উল্টো যাত্রা। পিউ রিসার্চ সেন্টারের নতুন এক সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জনসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি কমে গেছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৫ কোটি ৩৩ লাখ। কিন্তু জুন মাসে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখে। ফলে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে মোট জনসংখ্যার মধ্যে অভিবাসীর হার ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

শ্রমবাজারে ঘাটতি
পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমানে দেশটির শ্রমশক্তির ১৯ শতাংশই বিদেশে জন্মগ্রহণকারী কর্মী।

প্রতিবেদন অনুসারে, অভিবাসী জনসংখ্যা কমার পেছনে একাধিক নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে। ২০২৪ সালে জো বাইডেন আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন সীমিত করায় সীমান্ত দিয়ে আশ্রয়ের জন্য প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ১৮১টি নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে নতুন অভিবাসী প্রবেশে বাধা ও অ-নাগরিক অভিবাসীদের গণ-নির্বাসন অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাপক অভিযান ও নির্বাসন
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের জুলাইয়ের এক বিশ্লেষণ বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন নীতি যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতার ও নির্বাসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুনের তুলনায় ২০২৫ সালে গড়ে দৈনিক গ্রেপ্তার বেড়েছে ২৬৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) সংস্থা এখন অপরাধমূলক রেকর্ডবিহীন অভিবাসীদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ৮ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে তাদের নিজ দেশের বাইরে অন্য দেশে নির্বাসিত করেছে।

ট্রাম্পের দমননীতি এখানেই থেমে নেই। এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বর্তমানে ৫ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি বিদেশি নাগরিকের ভিসার রেকর্ড পর্যালোচনা করছে। তাদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বা ভ্রমণের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


আমার বার্তা/জেএইচ