ইউক্রেনে যুদ্ধর জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে শান্তিমূলক পদক্ষেপ হবে গত সপ্তাহে ১৮তম রাউন্ড নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইইউ। এর প্রতিক্রিয়ায় সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন, রাশিয়া এসব নিষেধজ্ঞায় বিচলিত নয় এবং ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান চলবে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, “আমাদের অর্থনীতি অবশ্যই টিকে থাকবে এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ছত্রভঙ্গ ও পরাজিত করার কাজও অব্যাহত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে কিয়েভসহ তথাকথিত ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে হামলার মাত্রা আরও বাড়ানো হবে।”
“এবং শুধু তাই নয়, মস্কোর উচিত হবে রাজনৈতিকভাবে ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা এবং এই ব্লকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা।”
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের হিসেব অনুযায়ী গত সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে উভয়পক্ষে নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ১২ লাখ মানুষ।
এই যুদ্ধের শুরু থেকেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ইইউ। সর্বশেষ গত সপ্তাহের বুধবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণ করেছেন ইইউ’র পররাষ্ট্র বিভাগের শীর্ষ নির্বাহী কাজা কালাস।
সেই প্যাকেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রয়ত্ত বিনিয়োগ তহবিল রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এবং ২২টি রুশ ব্যাংকের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সব ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন ব্যবহারেও।
ইউরোপে পাইপলাইন দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করত রাশিয়া। ২০২২ সালে এক গুপ্ত হামলায় পাইপলাইনটির গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই থেকে এখনও পাইপলাইনটি অব্যবহৃত অবস্থায় আছে।
সূত্র : আরটি
আমার বার্তা/জেএইচ