তুরস্কে দ্বিতীয় দিনে ভয়াবহ দাবানল, বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ১৬:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইজমিরে দাবানলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দমকলকর্মীরা। ভয়াবহ এ দাবানল বাড়তে থাকায় সোমবার ( ৩০ জুন) চারটি গ্রাম ও দুটি পাড়া থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

তুরস্কের বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি সোমবার জানান, ইজমিরের কুইউচাক ও দোগানবেয় এলাকায় রাতভর ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতির বাতাস দাবানলকে আরও ছড়িয়ে দিয়েছে। অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার, বিমান, যানবাহন এবং এক হাজারের বেশি কর্মী দাবানল নেভানোর কাজে নিয়োজিত আছেন।

তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দাবানলের কারণে ইজমির আদনান মেনদেরেস বিমানবন্দরের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

টিভি ফুটেজে দেখা যায়, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পাহাড়ের ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার পানি ছিটাচ্ছে, ট্র্যাক্টরে পানির ট্যাঙ্ক বসিয়ে আগুন মোকাবেলার চেষ্টা চলছে।

এর আগে প্রবল বাতাসের কারণে হেলিকপ্টারগুলো নামানো যায়নি। ফলে মাত্র দুইটি জলবাহী বিমান এবং একটি বড় মাটির দল আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছিল।

গভর্নর আরও জানান, সেফেরিহিসারের পাঁচটি পাড়া খালি করা হয়েছে। কারণ আগুন আবাসিক এলাকাগুলোর খুব কাছে পৌঁছে গেছে।

উরকমেজ গ্রামের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য গাছ কেটে ফায়ারব্রেক তৈরি করছেন।

এদিকে গাজিয়েমিরে একটি আবর্জনার ভাগাড়ে আরেকটি আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা কাছাকাছি বনভূমিতে গিয়ে পৌঁছেছে। এই আগুন ওটোকেন্ট শিল্পাঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। কারণ এই অঞ্চলে অনেক গাড়ি বিক্রির শোরুম আছে।

তুর্কি টিভি চ্যানেল এনটিভি’র সম্প্রচারে দেখা গেছে, একটি গাড়ির শোরুম আগুনে জ্বলছে।

তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো গত কয়েক বছরে ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ গ্রীষ্মকাল ক্রমেই অধিক গরম ও শুষ্ক হয়ে উঠছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

গত বছরও এই একই এলাকায় বড় ধরনের দাবানল হয়েছিল। দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। আগাম সতর্কতায় বহু লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই