প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতার সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁসের জেরে রাজপথে নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা।
থাইল্যান্ডের পতাকা হাতে স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জুন) ব্যাংককের রাজপথে নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ব্যাংককের বিজয় স্মারক চত্বর। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁসের পর বিতর্কিত পেতংতার্নের বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তবিরোধসহ নানা ইস্যুতে সংকটের মধ্যেই গেল সপ্তাহে ফাঁস হওয়া ওই টেলিফোনালাপে কম্বোডিয়ার নেতা কী চান সে প্রশ্ন করেন থাই প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর এক কমান্ডারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কমান্ডার থাই সরকারের পক্ষে নেই। আর এতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ও সম্মানকে হুমকিতে ফেলেছে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, প্রথমত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে অনেক বিরোধপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক কমান্ডারকে খাটো করেছেন। তার ওপর আবার কম্বোডিয়ার নেতা কী চান সেটাও জানতে চেয়েছেন। আর এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা স্বাধীনতাকে অসম্মান করা।
সরকারের পদত্যাগ চাইলেও তাতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করুক তা চান না আন্দোলনকারীরা। তাদেরই একজন বলেন, ‘আমরা চাই না যে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করুক। কারণ আমাদের সেনারা এরমধ্যেই তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আর অতীতেও সেনা অভ্যুত্থান দুর্নীতির সমাধান আনতে পারেনি।’
সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ‘ইউনাইটেড ফোর্স অব দ্য ল্যান্ড’, যারা গত দুই দশকে শিনাওয়াত্রা পরিবারের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
পেউ থাই পার্টি ২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটাই সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী সমাবেশ। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন বর্তমানে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, জোট সরকারের টানাপোড়েন এবং আগামী মাসের অনাস্থা ভোটের মুখে রয়েছেন। অতীতেও এমন আন্দোলনের জেরে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা আদালতের রায় পর্যন্ত গড়াতে দেখা গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই