আন্তর্জাতিক অনুদান বাতিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিরূপ প্রভাব ফেলছে
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১৩:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

আন্তর্জাতিক অনুদান বাতিল রোঙ্গিা ক্যাম্পে শরনার্থীদের জীবনমানে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাব থাইল্যান্ডে (এফসিসিটি) আয়োজিত ‘এ লাইট অব হোপ ফর রেফিউজিস ইন ওয়েটিং’ শীর্ষক আলোচনায় এই কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব শরনার্থী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এশিয়া প্যাসিফিক রেফিউজি রাইটস নেটওয়ার্ক (এপিআরআরএন), কারিতাস এবং জেস্যুট রেফিউজি সার্ভিস (জেআরএস) এশিয়া প্যাসিফিক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেলে দেখা যায় সেখানে শিশুরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। নারীদেরকেও বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত রয়েছেন। আইনগত বাধ্যকতা থাকলেও সেখানে নারী পুরুষকে বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, কিছু দূর্ঘটনার কারণে সবকিছুকে সাধারনীকরণ করা যায় না। কক্সবাজারে যেমন রোহিঙ্গারা অপরাধে জড়াচ্ছে সেটা সত্যি, একইভাবে স্থানীয়রাও হয়তো কিছু সুবিধা নিতে চাচ্ছে। তবে একই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে কোভিড বা সাইক্লোনের সময় যেভাবে স্থানীয় এবং শরনার্থীরা একসঙ্গে লড়াই করেছে সেটা প্রশংসনীয়। আমাদের কিন্তু স্থানীয়রাও সংকটে রয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে নয়। বরং গত চার দশকের সমস্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফাইয়াজ মুরশীদ বলেন, এখন যে অনুদান বাতিল করা হয়েছে এতে ইউনিসেফের পরিচালিত স্কুলগুলোতে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছে। কক্সবাজারের যে দুটি উপজেলায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে সেখানে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শ্রম নিশ্চিত করা কঠিন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আশিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও মিয়ানমারে শান্তি এবং আস্থার পরিস্থিতি ফেরাতে রোহিঙ্গা সমাধানের সংকট আবশ্যক বলে জানান তিনি।
এশিয়া প্যাসিফিক রিফিউজি রাইটস নেটওয়ার্কের (এপিআরআরএন) কো-সেক্রেটারি জেনারেল হাফসার তামিসউদ্দিন বলেন, শরনার্থীদের অভ্যন্তরীণ সম্পদকে (রিসোর্স) কাজে লাগাতে পারলে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার খরচও কমে আসবে। এছাড়াও শরনার্থীদের পুনঃবাসন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারগুলোর আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
এসাইলাম এক্সেস থাইল্যান্ডের নির্বাহী পরিচালক নায়ানা থানাওয়াত্থো বলেন, শরনার্থীদের কাজের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে স্থানীয় অর্থনীতিও তার সুফল পাবে।
এপিআরআরএন এর ক্লজ দিক নিয়েলসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেআরএস এর রিজিওনাল এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার (এশিয়া প্যাসিফিক) কুনানইয়াপর্ন জিরাসামাতাকি, ইন্দোনেশিয়ার নারাসি টেলিভিশনের সাংবাদিক আকওয়াম ফিয়াজমি হানিফান, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলান্টারি এজেন্সিস (আইসিভিএ) এশিয়া প্যাসিফিকের আঞ্চলিক প্রতিনিধি কেয়া সাহা চৌধুরী প্রমুখ।
আমার বার্তা/জেএইচ