ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। দেশটির নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকাতে সমর্থ হয়নি বলে দাবি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে একটি ‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। শনিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে, এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই প্রতিরোধ করেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বেজে উঠেছিল এ সময়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামাস নির্মূলের নামে নিরপরাধ গাজাবাসীর ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু করে তারা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে লোহত সাগর, আরব সাগর, বাব আল-মানদাব প্রণালি ও এডেন উপসাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। তারা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতেই তারা এই আক্রমণ চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়ে বাস্তুহারা হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।  

চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হুতিরা তাদের হামলা বন্ধ রেখেছিল। তবে, সম্প্রতি ইসরায়েল আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করলে হুতিরাও পুনরায় আক্রমণ শুরু করে।


আমার বার্তা/জেএইচ