পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ দেখাতে পারেনি ভারত: ইসহাক দার

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় দোষারোপ করে ভারতের নেওয়া পাকিস্তান বিরোধী পদক্ষেপকে অতিসতর্কতামূলক ও অপরিপক্ব বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের  উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ভারত এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

প্রতিক্রিয়াটি ছিল অপরিপক্ব ও অতিসতর্কতামূলক। ঘটনার পরপরই অকারণে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে।   
কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।  

হামলায় দুই ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ভারত একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বৃহস্পতিবার) জরুরি বৈঠকে বসছে পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা।

ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বহুল আলোচিত ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এই চুক্তি গত ছয় দশক ধরে বিভিন্ন যুদ্ধ ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেও বহাল ছিল। এই চুক্তি স্থগিত করাকে বিশ্লেষকরা দুই দেশের সম্পর্কে বড় ধরনের ছন্দপতন হিসেবে দেখছেন।

ভারত একই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্নমুখী করেছে এবং প্রধান সীমান্ত পারাপার রুট বন্ধ করে দিয়েছে। নয়াদিল্লি এই হামলাকে ‘গুরুতর উসকানি’ বলে আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক চাপ প্রয়োগের ঘোষণা দেয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা এ হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে ‘সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

তবে পাকিস্তান এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।  

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অনন্তনাগে হামলায় নিহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানায় এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া এবং পাকিস্তানের পাল্টা অবস্থান দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দাস চুক্তি স্থগিত হওয়া ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি পানিসংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে, আর কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস পেলে ভবিষ্যতে আলোচনার পথ আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়বে।


আমার বার্তা অনলাইন