গাজায় পোলিও টিকা সরবরাহ বন্ধ, ঝুঁকিতে ৬ লাখ শিশু
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

দিন যতই গড়াচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। নিরাপদ বলে আর কোনও স্থান বাকি নেই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে। একদিকে চলছে নির্বিচার অভিযান, অন্যদিকে আটকে দেওয়া হয়েছে সব রকমের ত্রাণ সহায়তা। বুলেট-গোলার আঘাতে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি তো নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছেই; খাদ্য-পানি-ওষুধ আর চিকিৎসার অভাবেও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধে ত্রাণ প্রবেশ করতে না পারায় তীব্র খাদ্য ও ওষুধ সংকটে ভুগছে গাজাবাসী। শঙ্কা বাড়ছে রোগ-বালাই ও মহামারির। সরবরাহ বন্ধ থাকায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে স্থগিত হয়ে গেছে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিও। এমন পরিস্থিতিতে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা বিরাজ করছে গাজা জুড়ে; শারীরিক অক্ষমতার ঝুঁকিতে আছে প্রায় ৬ লাখ শিশু।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল দেকরান। বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
খলিল দেকরান বলেছেন, অবিলম্বে পোলিও ভ্যাকসিন না পৌঁছালে আমরা একটি সত্যিকারের বিপর্যয়ের সাক্ষী হবো বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু ও রোগীদের রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। গত ২ মার্চ ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের কারণে গাজায় ভ্যাকসিনসহ সব ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশ আটকে গেছে এবং প্রায় ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত এবং দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, বিগত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো গাজায় পুনরায় আবির্ভূত ঘটেছে পোলিওর। তারপর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন দফা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জাতিসংঘ, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দাতব্য সংস্থাগুলো।
আমার বার্তা/জেএইচ