ফেব্রুয়ারিতেই মোদি-ট্রাম্প বৈঠক?
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে জল্পনা চলছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক কবে হচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই নেতার মধ্যে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন উভয় দেশের কূটনীতিকেরা।
সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে এই বৈঠক হতে পারে। ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি প্যারিসে মোদি ও ট্রাম্পের প্রথম বৈঠক হতে পারে।
প্যারিসে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সামিটের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তবে ট্রাম্প যদি প্যারিসের এই সামিটে অংশ না নেন তাহলে ফেব্রুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে কোনো তারিখই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয়নি।
চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার ভারত। সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। সেইসঙ্গে নিজেদের দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মী ভিসা পাওয়া সহজ করতে চায় ভারত। দুই নেতার বৈঠক হলে সেখানে এ দুই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ভারতে চলতি বছরের শেষে কোয়াডের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তখন কোয়াড তথা ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ভারতে উপস্থিত থাকবেন। এই শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে মোদি-ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে, এই সম্ভাবনা আগে থেকে ছিল।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফর করেছিলেন। সেইসময় মোদির নিজের শহর আহমেদাবাদের একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক লাখের বেশি মানুষ ট্রাম্পকে দেখতে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প ভারতকে বিরাট বাণিজ্য চুক্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে ২০১৯ সালে ট্রাম্প-মোদি একসঙ্গে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। ‘হাউডি মোদি’ নামের ওই শোভাযাত্রায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। এদের অধিকাংশই ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
সূত্রের বরাতে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প-মোদির সম্ভাব্য বৈঠকে আরও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে অংশীদারত্ব বৃদ্ধি অন্যতম।