বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের জন্য জুয়েলারি তৈরি প্রশিক্ষণ শুরু

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১৬ জন তরুণ-তরুণী এবং তাদের মায়েদের জন্য ৮ দিনব্যাপী জুয়েলারি তৈরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ‘অটিজম নয় দুর্বলতা, এসো হই উদ্যোক্তা’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। কর্মশালাটি ১১ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বেঙ্গল স্কয়ারে এই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম।

তিনি বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা এবং চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে এই প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিশোর-কিশোরীদের দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতি ও আরটিভির বার্তা প্রধান ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার, এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার, এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিসিআই-এর সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, সংগীতশিল্পী কাণিজ সুবর্ণা ও অভিনেতা মুকিত জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দা সুলতানা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রাকিব, জেনারেল ম্যানেজার আবু সাদেক মোহাম্মদ আলীম, ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান কবির আহমেদ, অনলাইন ইনচার্জ আবু আজাদ, বায়ান্ন টিভির বার্তা সম্পাদক ও ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই জুয়েলারি তৈরি কর্মশালাটি চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। এতে ১৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর-কিশোরী ও তাদের মায়েরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো এসব কিশোর-কিশোরীদের এমন দক্ষতা প্রদান করা যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং পরিবারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।


আমার বার্তা/এমই