শিল্পা শেঠি-রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপি প্রতারণার মামলা

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা শিল্পা শেঠি ও তার স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি এই দম্পতির বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেড-এর ঋণ ও বিনিয়োগ চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, ব্যবসায়ী দীপক কোটারি তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। 

অভিযোগে তিনি বলেছেন, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তিনি তাদের ৬০.৪৮ কোটি রুপি দেন। কিন্তু সেই অর্থ ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করেছেন এই সেলিব্রেটি দম্পতি। দীপক কোটারির দাবি, ২০১৫ সালে তিনি এজেন্ট রাজেশ আর্যার মাধ্যমে শিল্পা-রাজ দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে সময় তারা বেস্ট ডিল টিভি-এর পরিচালক ছিলেন। 

কোম্পানির ৮৭ শতাংশের বেশি শেয়ার ছিল শিল্পা শেঠির। রাজেশ আর্যার অভিযোগ অনুযায়ী, কোম্পানির জন্য ১২ শতাংশ বাৎসরিক সুদে ৭৫ কোটি রুপির ঋণ চান তারা। তবে কর কমানোর জন্য তিনি একে ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখানোর প্রস্তাব দেন। পরে একটি বৈঠকে চুক্তি চূড়ান্ত হয়। সময়মতো অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাকে। প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রায় ৩১.৯৫ কোটি রুপি ২০১৫ সালের এপ্রিলে হস্তান্তর করেন কোটারি। কিন্তু কর সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় চুক্তি হয়। এরপর ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি আরও ২৮.৫৪ কোটি রুপি দেন। সব মিলিয়ে তিনি মোট ৬০.৪৮ কোটি রুপি দেন। এছাড়া স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ৩.১৯ লাখ রুপি পরিশোধ করেন। 

২০১৬ সালের এপ্রিলে শিল্পা শেঠি তাকে ব্যক্তিগত গ্যারান্টিও দেন বলে দাবি করেছেন কোটারি। কিন্তু কয়েক মাস পর সেপ্টেম্বরে শিল্পা কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই কোম্পানির বিরুদ্ধে ১.২৮ কোটি রুপির দেউলিয়াত্ব মামলা হয়। এ সম্পর্কে কোটারি কিছুই জানতেন না। বহুবার অর্থ ফেরতের অনুরোধ করেও তিনি ব্যর্থ হন। তার অভিযোগে কোটারি বলেন, ২০১৫-২০২৩ সালের মধ্যে এই দম্পতি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যবসার নামে টাকা নিয়ে তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। মামলাটি প্রথমে জুহু থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হয়। তবে ১০ কোটি রুপির বেশি অর্থ জড়িত থাকায় পরে তা ইকোনমিক অফেন্সেস উইং-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে ইওডব্লিউ মামলাটি তদন্ত করছে।


আমার বার্তা/এল/এমই