এনটিআরসিএ নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ নিয়ে প্রহসনের শেষ কোথায়
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০১ | অনলাইন সংস্করণ
আলিমা আফরোজ লিমা

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কুট কৌশল বৈষম্য বিরোধী স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও বহাল থাকবে কেন? ড. দিপু মনি, নওফেলের যেই দুর্নিতির জন্য আজ কারাগারে তাদের সেই নীতি কেন আজও বহাল থাকবে শিক্ষা ক্ষেত্রে? জাতি যেই স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। ১-১২ তম নিবন্ধন ধারী দের ব্যাপারে এর ব্যাতিক্রম হওয়াটা কাম্য নয় জানিয়েছেন নিয়োগ বন্ঞ্চিত নিবন্ধনধারীগণ।
এনটিআরসিএ’র নিয়োগ সংক্রান্ত কালক্ষেপন যেন জীবন ও জীবিকার অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে।আশা নিয়ে বহুবার আন্দোলন করেছেন শিক্ষকরা।রাজপথ থেকে রাজপথে এমনকি খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো থেকে শুরু করে পুলিশের লাঠিপেটাও বাদ যায়নি।শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা,আটক,কিছুই বাদ য়ায়নি। আর রাষ্ট্রের সংস্কার যেখানে নয় মাস হয়ে গেলেও নিবন্ধন ধারী দের নিয়োগ সংক্রান্ত কোন সুরাহা এখনও হলো না।এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে নিবন্ধনধারীদের।
এমনকি দুর্নিতির এত প্রমাণ থাকার পরও শিক্ষাক্ষেত্রে নিবন্ধনধারীদের সমস্যা সমাধানের পথ এখনও সুগম নয়।আজ শিক্ষার মূল্য প্রশ্নবিদ্ধ।কোথায় পাওয়া যাবে সনদের যথাযথ মর্যাদা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কারের শুরু শিক্ষা খাতের সংস্কার থেকেই হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন নিবন্ধন ধারীরা।
শুধু তাই নয় সারা দেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জাল সনদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের চিহ্নিত করার পর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এনটিআরসিএ।
তারা দাবি করেন, আমাদের রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে এনটিআরসিএ ৬০ হাজার জাল সনদ দিয়েছে। তাদের আবার এমপিওভুক্ত করেছে। জাল সনদধারীরা বহাল তবিয়তেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শাখায় এখনো শিক্ষকতা করছেন। জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করার পরও তাদের চাকরিচ্যুত করা হলো না কেন? আমাদের নিয়োগ এখনো দেয়া হয়নি কেন? এমত অবস্থায় জাল সনদের আড়ালে কেন বৈধ সনদ হারিয়ে যাবে। শুধু নিবন্ধন ধারীরাই নয় সুশীল সমাজের প্রশ্ন। স্বয়ং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেই স্বীকার করেছে তখন কমিটির হাতে ছাড়ার ফলে আজকের এই অবস্থা হয়েছে।এবং প্রতিটি স্কুল কলেজ এমনকি প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির প্রতিফলন আজকের এই হযবরল অবস্থা।
মান সম্মত শিক্ষা ব্যাবস্হার প্রথম সোপানই হলো যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ। অনেকের ৩/৪ টা স্কুল কলেজের নিবন্ধনের সাটিফিকেট আর ভালো নম্বর থাকার পরও কেন নিয়োগ বন্ঞ্চিত প্রশ্ন সাধারণ নিবন্ধনধারীদের? পদ ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও কিসের হাতে জিম্মি রয়েছে এনটিআরসি- এর নিয়োগ ব্যাবস্থা?যেখানে বারংবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।আজ এই টেবিল তো কাল অন্য টেবিল।আজ এখানে তো কাল ওখানে।সাধারণ নিবন্ধন ধারীরা আজ জানতে চান কোথায় গেলে সুরাহা হবে?
৮ অক্টোবর ২০২১ সালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে শুরু হয়ে আসা আন্দোলন কেন আজও আশার আলো দেখতে পেলো না? কি আছে এর আড়ালে। বহু দুর্নিতি উঠে আসলেও যেন ১-১২ তমদের নিয়োগ জটিলতা দেখবার কেউ নেই।সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্যারের আশ্বাস অনুয়ায়ী দাবি নিয়ে যাওয়ার এবং সমাধানের আশ্বাসের পরও নতুন শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিবন্ধন ধারীরা। নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার স্যারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নিবন্ধন ধারীরা।
আমার বার্তা/আলিমা আফরোজ লিমা/এমই