শাহ আমানত বিমানবন্দর পিছিয়ে পড়ছে কার্গো ফ্লাইট অপারেশন

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পিছিয়ে পড়ছে কার্গো ফ্লাইট অপারেশন। উদ্যোগ থাকলেও এখনো প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ স্থাপন করতে পারেনি বাংলাদেশ বিমান। সংকট রয়েছে ওয়্যারহাউজসহ অন্যান্য অবকাঠামোর। বন্দরনগরী হিসেবে অনেক আগেই নজর দেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্রুত কারিগরি কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার সংস্থা বাংলাদেশ বিমান।

ঢাকা বিমানবন্দরের পর দ্বিতীয় অপশন হিসেবে কার্গো ফ্লাইট চালু হয় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। বর্তমানে এ বিমানবন্দর দিয়ে সপ্তাহে তিনটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। তবে সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো কার্যক্রম।
 
সমুদ্র পথে বাণিজ্যের অবারিত সুবিধা থাকলেও সৃষ্টি হয় জটিলতা। এমন প্রেক্ষাপটে আকাশ পথে একই চত্বর থেকে স্বল্প সময়ে পণ্য রফতানির সুযোগ পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
 
মোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ কবির বলেন, প্রচুর সি-শিপমেন্ট হচ্ছে। ভ্যাসেলের সময়সূচি মিস হলে পণ্য দ্রুত এয়ার শিপমেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এটি করা সম্ভব না হওয়ায় পণ্য ঢাকায় আনতে হয়। তবে বন্দরের একই কাস্টমসের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে এয়ার শিপমেন্ট করতে পারলে সময় ও ব্যয় উভয়ই সাশ্রয় হবে।’
 
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্যোগ থাকলেও অত্যাবশ্যক হিসেবে পণ্য পরীক্ষা করার এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম-ইডিএস মেশিন না বসানো, পণ্যের ওয়্যার হাউজের সক্ষমতা কম ও রেগুলেটেড এজেন্টের অনুমতি মেলেনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে।
 
দ্যা বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল হক জানান, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। স্টোরেজ সক্ষমতাও পর্যাপ্ত নয়। ইতোমধ্যেই তৈরি করা গোডাউনটিও কার্গো ওয়্যারহাউজ হিসেবে ব্যবহারে উপযোগী নয়, যার ফলে বিমানবন্দরটি পূর্ণরূপে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’
 
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সভাপতি কবির হোসেন বলেন, ‘কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার জন্য ইডিএস মেশিন স্থাপন অত্যাবশ্যক। তবে সেটি এখনও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়নি। বিমানবন্দরে স্ক্যানার বসিয়ে সেটি ইইউ ভ্যালিডেটরের মাধ্যমে ভ্যালিডেশন করতে হবে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ওয়্যারহাউজের জন্য পদক্ষেপ নিলেও তাতে এখনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।’
 
তবে দ্রুতই রেগুলেটেড এজেন্টের অনুমতিসহ কার্গো সেবার আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার প্রত্যাশা বাংলাদেশ বিমানের। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (কার্গো ভিলেজ) মো. শাকিল মেরাজ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকেও সার্টিফিকেশন করা হচ্ছে, যাতে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছে দেয়া যায়।’
 
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো সার্ভিস শুরু হলে নতুন করে গতি বাড়বে আমদানি-রফতানিতে। পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব।

আমার বার্তা/এল/এমই