৮২ শতাংশ ব্যবসায়ী মতে বর্তমান করহার অন্যায্য: সিপিডির গবেষণা
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৮২ শতাংশ ব্যবসায়ী বর্তমান করহারকে ‘অন্যায্য’ ও ব্যবসার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গুলশানের একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত কর ও ভ্যাট সংস্কারবিষয়ক এক সংলাপে বিষয়টি উঠে আসে।
এ ছাড়া সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৯ শতাংশ ব্যবসায়ী কর কর্মকর্তাদের জবাবদিহির অভাবকে বড় সমস্যা ও ৭২ শতাংশ ব্যবসায়ী কর প্রশাসনে দুর্নীতি ব্যবসার জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন সম্পূর্ণ ডিজিটাল কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকাও ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য মশিউর রহমান, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এইচ এম মাহবুব সালেকিন, সাবেক অর্থ সচিব সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট তানিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, স্বয়ংক্রিয়পদ্ধতি বা অটোমেশন চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত- প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ব্যবসায়ীরা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, অহেতুক হয়রানি করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজ হচ্ছে।
আবদুর রহমান ন্যূনতম করকে কালাকানুন উল্লেখ করে বলেন, কোনো সন্দেহ নেই ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন। এটা স্বীকার করতেই হবে। বিজনেসে কর হবে মুনাফার ওপর। তা না করে মিনিমাম কর নির্ধারণ করছি। সমস্যা হচ্ছে এগুলো ঠিক করতে গেলে আমাদের কর আহরণ কমে যাবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। এতে দেখা যায়, ৬৫ শতাংশ ব্যবসায়ী নিয়মিত কর দাবিকে কেন্দ্র করে কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, যথাযথ ব্যাখ্যা বা পূর্বাভাস ছাড়াই কর কর্মকর্তারা অনেক সময় ইচ্ছেমতো কর আরোপ করেন। এসব অনুশীলন করের অঙ্কের বাইরে গিয়ে অদৃশ্য চাপ তৈরি করে, যা ব্যবসার জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
আমার বার্তা/জেএইচ