এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে শাহ আমানতের বকেয়া পাওনা ২১৩০ কোটি টাকা
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশীয় বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাছে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় বিপাকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরমধ্যে শুধু বাংলাদেশ বিমানের কাছে বকেয়া ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট এয়ার, জিএমজি এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কাছে আটকে আছে আরও ৩৩৭ কোটি টাকা। অবশেষে বকেয়া পাওনা আদায়ে বন্ধ এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে শাহ আমানতের বকেয়া পাওনা ২১৩০ কোটি টাকা!
শাহ আমানত বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত সাতটি বিমান সংস্থার মধ্যে ৬টির কাছে ৩৫৪ কোটি টাকা মূল বিল ও ৯৩ কোটি ভ্যাট ছাড়াও এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকা সারচার্জসহ মোট বকেয়া ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু বিমান বাংলাদেশের কাছে ২৬৪ কোটি মূল বিল, ৮০ কোটি টাকা ভ্যাট ও এক হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা সারচার্জ বকেয়া রয়েছে।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর বলেন, অনেক দিন ধরে কিছু এয়ারলাইন্সের বকেয়া পেইন্ডিং পড়ে আছে। এরমধ্যে কিছু এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, জিএমজি এয়ার ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স; এদের কাছে অনেক টাকা সরকার পায়। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। এখনও প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা বকেয়া আছে।
মূলত এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ৬ ধরনের অ্যারোনটিক্যাল চার্জ আদায় করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও অন্তত ৪ ধরনের নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ পরিশোধ না করায় বিপুল বকেয়া জমে যায় বিমান সংস্থাগুলোর।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে চিঠি পাঠাই। ওই চিঠিতে বলে দেয়া থাকে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা এ চার্জগুলো পরিশোধ করবে। কিন্তু সে হয়তো ৫০ শতাংশ চার্জ পরিশোধ করলো। এমন করে জমতে জমতে অনেক টাকা বকেয়া হয়ে যায়।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে ৬৮ কোটি টাকা মূল বিলের পাশাপাশি ১০ কোটি টাকা ভ্যাট এবং ১৭৩ কোটি টাকা সারচার্জসহ মোট বকেয়া পাওনা রয়েছে ২৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। একইভাবে ইউনাইটেডের কাছে ৮ কোটি টাকা মূল বিলসহ ৫৪ কোটি টাকা এবং জি এম জি এয়ারলাইন্সের কাছে ২৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে এয়ালাইন্সের পাশাপাশি সরকারি সব পক্ষকে যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ এভিয়েশন বিশ্লেষকদের।
চট্টগ্রাম এভিয়েশন ক্লাবের সভাপতি আসিফ চৌধুরী বলেন, ‘শাহ আমানত কর্তৃপক্ষের এখনও যে পাওনা টাকা রয়ে গেছে, সেটা প্রায় হাজার কোটি টাকা। এয়ারলাইন্সসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থাকে এ পাওনা আদায়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
২০০০ সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া শাহ আমানতে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে অন্তত ১৭ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন।
আমার বার্তা/এল/এমইৃ