চাকরিচ্যুতদের ওপর হামলার বিচার ও পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর হামলার বিচার ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
কর্মকর্তাদের পক্ষে মো ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ৭ আগস্ট আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মদদে নিরাপত্তাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ২০জন গুরুতর আহত হন। কিন্তু পর দিন শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাংকের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনকারীরা ব্যাংকের কর্মকর্তা ও প্রহরীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উলটো বাদী হয়ে আন্দোলনকারীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। এ ঘটনার দায়ভার সম্পূর্ণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। ঘটনার দিন ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের (এইচআরডি) প্রধান আমির হোসেন পার্শ্ববর্তী সুরমা টাওয়ার থেকে নেমে আন্দোলনকারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করেন। পরে তারই নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা প্রহরীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ন্যাক্কারজনক এ হামলার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ২০ জুলাই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও উপ-শাখার ৫৪৭ জন কর্মকর্তাকে পৃথক ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে গত ২৮ জুলাই থেকে প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে আসছি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেছে, ২০২১ সাল থেকে ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসংগতি রয়েছে। সাধারণত ব্যাংক নিজেদের অভ্যন্তরীণ ত্রুটি প্রকাশ না করলেও এ ব্যাংক নিজেরা দোষী দাবি করেছে। তাছাড়া আন্দোলনে উসকানিদাতা হিসেবে এস আলম গ্রুপ ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবুর ব্যক্তিগত সচিবকে দায়ী করা হয়েছে। অথচ ২০২১ সাল থেকে প্রায় তিন বছর ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কেডিএস গ্রুপের সেলিম রহমান। তার ব্যক্তিগত সচিব সাহেদ জামিলের তত্ত্বাবধানে যথাযথভাবে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বতন্ত্র পর্ষদ নিয়োগ করা হলেও তারা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সুশাসন আনার পরিবর্তে নিজেরাই দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। ৫৪৭ জন নিম্নপদের কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করে গত এক বছরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রায় দুই শতাধিক নির্বাহী ও কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে তাদের আগের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার ও ইসি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ ঘুষ নিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছেন। তাদের অপকর্মের কারণে আজ ব্যাংকটি ধ্বংসের মুখে। তাই আমরা চাই, এ দুর্নীতিবাজ পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হোক।
আমার বার্তা/এল/এমই