শাহজালালে বিমানের কার্গো ও গ্রাউন্ড সেবায় রেকর্ড পরিমাণ আয়

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানো মানেই নতুন এক চমক। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেই বাস্তবতা এখন চোখে পড়ছে বাংলাদেশ বিমানে। নানা সমালোচনার মাঝেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় কার্গো ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আয় বেড়েছে ৩০০ কোটি টাকা। মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ২২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
 
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (কার্গো ভিলেজ) মো. শাকিল মেরাজ বলেন, গত অর্থবছরে অর্জিত এই আয় বিমানের ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ট্রান্সশিপমেন্টের বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে এখন বিমান উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।
 
তথ্য অনুযায়ী, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৩৪টি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে গ্রাউন্ড সার্ভিসসহ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন পণ্য রফতানি এবং ৪০০ থেকে ৫০০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে পুরো কার্গো সেবা দেশীয়ভাবেই দেয়া হচ্ছে। নতুন করে প্রায় তিনশ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গ্রাউন্ডে নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ায় রফতানিকারকদের আস্থা ফিরেছে, আর তার ফলে আয়ও বাড়ছে সংস্থাটির।
 
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই অর্জন ধরে রাখতে এবং আরও বাড়াতে হলে দৃশ্যমান জবাবদিহি প্রয়োজন। তবে লভ্যাংশ বেশি হওয়ায় ডেডিকেটেড কার্গো সার্ভিস চালুর পরামর্শ তাদের। বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক নাফিস ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিমান হ্যান্ডলিংয়ের জন্য যন্ত্রপাতি ও জনবল দুটোরই যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। তবে সন্তোষজনক সেবা না দিলে সেটি ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতা হবে।
 
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, যদি ডেডিকেটেড কার্গো সার্ভিস সফলভাবে চালু করা যায়, তাহলে রাজস্ব আয় অনেক বেড়ে যাবে। তৃতীয় টার্মিনালে একাধিক দেশের কার্গো সার্ভিস শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এজন্য তাদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার।
 
এক বছরের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সার্ভিস থেকে বাংলাদেশ বিমানের আয় যথেষ্ট বেড়েছে। তৃতীয় টার্মিনালে সংশ্লিষ্ট কার্গো ভিলেজ চালু হলে এই আয় আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

আমার বার্তা/এল/এমই