কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশে শোভন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাজারে দেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব মো. শহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং রোববার (০৩ আগস্ট) ঢাকায় ইআরডি ভবনে এক অনুষ্ঠানে যথাক্রমে বাংলাদেশ এবং এডিবির পক্ষে ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিওং বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের অগ্রাধিকার অনুযায়ী এই কর্মসূচি পাঁচটি প্রধান প্রযুক্তি ক্লাস্টারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সেগুলো হলো- মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সিভিল, এবং খাদ্য ও কৃষি। এটি বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অগ্রাধিকারকে সহায়তা করবে, দারিদ্র্য ও সামাজিক বঞ্চনার অ-আয়ভিত্তিক দিকগুলো মোকাবিলা করবে এবং সরকারের সমন্বিত টিভিইটি উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা (আইটিডিএপি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভন কর্মসংস্থান ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াবে।
টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) টিচার্স ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের জন্য ফলাফলভিত্তিক এই সহায়তা ঢাকার বাইরে, বিশেষত অনুন্নত এলাকায় আধুনিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াবে, উদীয়মান প্রযুক্তিতে শিক্ষকদের শিক্ষাদান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নত করবে এবং শিক্ষক উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেদন প্রণালীর সক্ষমতা জোরদার করবে।
কর্মসূচি শেষে অন্তত ১০ হাজার নতুন ও বিদ্যমান টিভিইটি শিক্ষকের দক্ষতা বাড়বে, যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, সারাদেশে ধারাবাহিক পেশাগত উন্নয়নের একটি জাতীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে বাংলাদেশের টিভিইটির মান ও প্রাসঙ্গিকতা দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকে।
এডিবি হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক। সদস্য দেশ ও অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে এডিবি, যা উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ ও কৌশলগত অংশীদারত্বকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, মানসম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং আমাদের গ্রহের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি বর্তমানে ৬৯টি দেশের মালিকানাধীন, যার মধ্যে ৫০টি দেশ এই অঞ্চলের।
আমার বার্তা/এমই