বিএনপি উদ্বেগ জানানোর পর টেলিকম নীতিমালা নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিএনপি উদ্বেগ জানানোর পর টেলিকম নীতিমালা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নীতিনির্ধারকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন লাইসেন্স বাতিলের শঙ্কায় পড়া অপারেটররা। তবে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি মোবাইল অপারেটরদের।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালায় কারো স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না।
দেড় দশক পর টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিংখাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন টেলিকম খসড়া পলিসিতে, ছেঁটে ফেলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানকারী ২৩টি অপারেটর; আন্তঃঅপারেটর সংযোগ সেবাদানকারী ২৪টি প্রতিষ্ঠান। বাদ যাচ্ছে ব্যান্ডউইথ জোগান দেয়া ৩৪টি আইআইজি অপারেটরও।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) টেলিকম নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করতে বিটিআরসিতে বৈঠক শুরুর আগেই নতুন নীতিমালার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খসড়া নীতিমালা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। যা টেলিকম খাতের টেকসই উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দলটির এমন অবস্থানে, পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বিটিআরসিতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে, পলিসি নিয়ে নতুন করে আলোচনার কথা জানান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গত ৬ মাস ধরেই আলোচনা চলছে। বিটিআরসিতে একাধিক পরামর্শ সভা হয়েছে। আরও হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অংশীজনদের উদ্বেগ আমলে নিয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইআইজিডব্লিউ, ব্রডব্যান্ড এবং আইসিএক্স অপারেটররা। তবে বিএনপির অবস্থান কিংবা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মোবাইল অপারেটররা।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শুধু টেলিকম অপারেটর বা আইএসপি না, আইআইজিডব্লিউ, আইসিএক্সসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটি সবার জন্যই ভালো হবে।
জানা গেছে, শিগগিরই সংশোধিত টেলিকম নীতির খসড়া বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই