বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১৬:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, মুহাম্মদ ওয়াসিফ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অ্যাটাশে, জনাব জাইন আজিজ।
রোববার (২৯ জুন) ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সৌজন্যমূলক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এবং পরিচালক ফাহিমা আক্তার।
বৈঠকে উভয় পক্ষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারকরণ ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষভাবে, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
আলোচনায় টেক্সটাইল উৎপাদনে পাকিস্তানের শক্তিশালী বৈশ্বিক অবস্থান এবং পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে পাকিস্তান থেকে টেক্সটাইল আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে তৈরি পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোশাক অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান উল্লেখ করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পোশাক শিল্পের ঝুট (টেক্সটাইল বর্জ্য) আমদানি করে তাদের ক্রমবর্ধমান রিসাইকেল শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী দেশ এবং পাকিস্তানে বাংলাদেশের পাট তন্তুর উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। পাকিস্তান যদি পাট তন্তু আমদানি করে, তবে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য সম্প্রসারণে জ্ঞান বিনিময়, উভয় দেশ থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রেরণ, এবং প্রদর্শনী ও কর্মশালাগুলোতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
তারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে পূর্বে বিজিএমইএ এবং পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেন। বিজিএমইএ সভাপতি জোর দেন যে, এই এমওইউ বাস্তবায়নে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
উভয় পক্ষই একমত হন যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে তারা ফোকাল পয়েন্ট মনোনীত করে একসঙ্গে কাজ করবে।
আমার বার্তা/এমই