পণ্য আমদানিতে বেড়েছে গতি, চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্বে চাঙ্গাভাব
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জ্বালানি তেল এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বাড়ার পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দরে ভরসা করে ১১ মাসে ৭১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা কম হলেও গত বছরের তুলনায় বাড়তি রাজস্ব আদায় হয়েছে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা। শুধু মে মাসেই সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আদায় হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থ-বছরের শুরুতে রাজস্ব আদায়ে ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৮৬১ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসাবে বাড়তি আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। শুধু মে মাসেই আদায় হয়েছে রেকর্ড ৮ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। বিগত বছরের তুলনায় এবার ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলার সংকটের কারণে অর্থ বছর শুরুর কয়েক মাস এলসি খোলায় যেমন বিপত্তি ছিল, তেমনি নানা জটিলতায় আমদানি পণ্য ছাড় করাতেও পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি। তবে সম্প্রতি হাইস্পিড ডিজেল থেকে ৬১৯ কোটি, ফার্নেস অয়েল ৫১৫ কোটি, ক্রুড অয়েল থেকে ৩০২ কোটি, সিমেন্ট ক্লিংকার থেকে ১৬৭ কোটি, কয়লা থেকে ১৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এমনকি আমদানি করা ফল থেকে আদায় হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম বলেন, জ্বালানি, খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য পণ্য বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি আমদানি হয়েছে। এ কারণে বেড়েছে রাজস্ব আদায়ও।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিশেষ করে নানা সংকটের মাঝেও চলতি অর্থ বছরে বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পাশাপাশি কনটেইনার এবং কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে। আর তাতেই বাড়তি রাজস্ব আদায়ের সুযোগ হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, চলতি অর্থবছরের আর ১০ দিনের মতো বাকি রয়েছে। বাকি দিনগুলোতেও আশা করা যায় চলমান ধারা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা আদায় হওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
আমার বার্তা/এল/এমই