চামড়া খাতে রপ্তানির নতুন কৌশলের তাগিদ দিলেন ডিসিসিআই সভাপতি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ১৩:২০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলাদেশের চামড়া খাত বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প হলেও বৈশ্বিক বাজারে দেশের অংশীদারত্ব এখনও ১ শতাংশের নিচে রয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি কৌশল নতুনভাবে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
রোববার (২৫ মে) ডিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি প্রবৃদ্ধির টেকসই কৌশল নির্ধারণে এক ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা সীমিত হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় পরিবেশগত, শ্রম এবং পণ্যের মান বিষয়ে বৈশ্বিক মানদণ্ড মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১.০৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য কম। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল সময়কালে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ৯৩২.৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে খাতটির সামনে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, পরিবেশ মানদণ্ড না মানা, ব্র্যান্ডিং ও বাজারজাতকরণের দুর্বলতা, নির্দিষ্ট কিছু বাজারে অতিনির্ভরতা এবং পণ্যের বৈচিত্র্য ও ডিজাইনের ঘাটতি।
টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য তিনি যেসব করণীয় দিক তুলে ধরেন তার মধ্যে রয়েছে, ট্যানারিতে ইটিপি স্থাপন ও কার্যকর পরিচালনার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব রূপান্তর, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, প্যাকেজিং ও লজিস্টিকসসহ আনুষাঙ্গিক খাতের সঙ্গে সংযুক্তি, এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার নতুন বাজারে প্রবেশ, ইএসজি কমপ্লায়েন্স ও ট্রেসেবিলিটির জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় জোরদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
আমার বার্তা/এল/এমই