চট্টগ্রামে মডার্ন ফিশিং এক্সিবিশন’ শুরু হচ্ছে ২৭ মে

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১১:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলতে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘মডার্ন ফিশিং ইকুইপমেন্ট সেমিনার অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৫’। আগামী ২৭ ও ২৮ মে মেরিন ফিশারিজ অ্যাকাডেমির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ আয়োজন করছে এসআরএল কসমস ট্রল লিমিটেড।

ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের খ্যাতনামা মৎস্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এতে অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনীতে থাকছে জাল, ট্রল দরজা, মাছ শনাক্তকরণ যন্ত্র, জাহাজ নকশা, প্রপালশন সিস্টেম, হিমায়ন প্রযুক্তি, সীফুড প্রক্রিয়াকরণ ও জ্বালানি পরিশোধন–এ সংক্রান্ত আধুনিক উদ্ভাবন। জাহাজ মালিক, নৌবহর ব্যবস্থাপক, ক্যাপ্টেন ও ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য থাকছে বিশেষ সেশন।

সিমরাড (নরওয়ে) মাছ শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবলিত ‘এসএন ফরওয়ার্ড-লুকিং ইকো সাউন্ডার’ ও ট্রল পজিশনিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ প্রদর্শন করবে।

কারসো (ডেনমার্ক) সমুদ্রে চলমান অবস্থায় মাছ প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তি আনছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবী, এর মাধ্যমে মাছের অপচয় কমে এবং রপ্তানিযোগ্য মানে উন্নতি হবে।

স্কিপাসিন (আইসল্যান্ড) বঙ্গোপসাগরের জন্য উপযোগী জাহাজের নতুন নকশা উপস্থাপন করবে। এতে দেশীয় শিপইয়ার্ডে নির্মাণ সক্ষমতা বাড়বে এবং আমদানি নির্ভরতা কমবে।

সি.সি. জেনসেন (ডেনমার্ক) জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডিজেল ইঞ্জিন ফিল্টারিং সিস্টেম প্রদর্শন করবে, যাতে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

গারওয়ে টেকনিক্যাল ফাইবারস (ভারত) জ্বালানি সাশ্রয়ী, উচ্চ শক্তির জাল ও রশি আনছে। পরিবেশবান্ধব এই সরঞ্জাম মৎস্য আহরণে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেবে।

এএস স্ক্যান (ডেনমার্ক) ডেক হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও নেটসাউন্ডিং উইঞ্চ উপস্থাপন করবে, যা জাহাজ পরিচালনার দক্ষতা বাড়াবে।

এসআরএল কসমস (বাংলাদেশ) আইসল্যান্ডিক পোলার ট্রল দরজার নতুন মডেলসহ পরিবেশবান্ধব ও নীতিমালানুগ সমাধান প্রদর্শন করবে।

এসআরএল কসমস ট্রলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লার্স জেনসেন বলেন, “আমাদের ১৫ বছরের পথচলার এই মাইলফলকে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সংযুক্তিই বাংলাদেশি মৎস্য শিল্পকে টেকসই ও বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।”

মৎস্য অধিদপ্তর ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরাও মনে করছেন, এমন প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশি উদ্যোক্তারা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবেন। এতে টেকসই মৎস্যচাষ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভাবনা জোরদার হবে।


আমার বার্তা/এমই