খাতুনগঞ্জে এবার বিগত বছরগুলোর তুলনায় মসলার দাম কম
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ১২:২০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার সরগরম। দেশের ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ এ পাইকারি বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় সব ধরনের মসলার দামই কম। এলাচের বাজার একটু চড়া।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈধ পথে বাদেও ভারতসহ আশপাশের দেশ থেকে অবৈধভাবে মসলা আসার কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার মসলার দাম কম। পাশাপাশি ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন নতুন আমদানিকারক বাজারে আসায় আমদানি বাড়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনিসহ কোরবানিতে বিভিন্ন মসলার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এতে খুচরা থেকে পাইকারি পুরো বাজারই গরম থাকে। তবে এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এলাচ ছাড়া অন্য প্রায় সব মসলার দাম গত বছরের তুলনায় কম।
খাতুনগঞ্জের ইলিয়াছ মার্কেট ও জাফর মার্কেট ঘিরে মসলার পাইকারি বাজার। সোমবার (১২ মে) সেখানকার মসলা ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে চাহিদার গরম মসলার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। সাফটা চুক্তির সুযোগ নিয়ে ভারত হয়েও অনেক মসলা আসে বাংলাদেশে। পরিমাণে কম হলেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত মসলার মধ্যে এলাচের দাম সর্বাধিক।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এলাচ আমদানি হয় গুয়েতেমালা থেকে। ভারত হয়েও কিছু এলাচ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। চায়না ও ভিয়েতনাম থেকে দারুচিনি আমদানি হয়। লবঙ্গ আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। বিগত কয়েক বছর মাদাগাস্কার থেকেও কিছু লবঙ্গ আমদানি হচ্ছে।
মরিচ, হলুদ, ধনিয়ার পর মাংসসহ রান্নায় চিকন জিরার চাহিদা বেশি। ভারত, আফগানিস্তান, সিরিয়া, চায়না থেকে চিকন জিরা আমদানি হয়। চলতি বছর আফগানিস্তান থেকে বেশি জিরা আমদানি হয়েছে। পাশাপাশি মিষ্টি জিরা আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।
আমার বার্তা/এল/এমই