বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ’র ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেছালো
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিলো। তবে সংস্থাটির বোর্ড সভা পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য ঋণ ছাড়ের বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১২ মার্চ আইএমএফ’র বোর্ড সভায় উঠতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আইএমএফের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ ছিলো। মূলত এ কারণেই বোর্ড সভার সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি। এছাড়া ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সংস্থাটি থেকে চাপ ছিলো। এক্ষেত্রে আমরা ইতিমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে আসছি।
তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফ’র চতুর্থ কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত ও ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে সংস্থাটি।
তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করছে, ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে এনবিআরের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। কারণ ইতিমধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ঋণের তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।
এদিকে ৪৭০ কোটি ডলারের চলমান এই ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এই অর্থ দিতেও সম্মত হয়েছে আইএমএফ। তবে এ জন্য কর আদায় ও নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করাসহ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মতো কিছু কঠোর শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানো–সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনসহ কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ সভায় চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। বোর্ড অনুমোদন দিলে ঋণ ছাড় করা হবে। একই সঙ্গে চলমান কর্মসূচির আওতায় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলার করতেও তাঁরা সম্মত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
আমার বার্তা/এমই