ডিআইজি জামিলের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসানের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। 

বুধবার (৩ জুলাই) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আইনজীবী মো. জিয়া উদ্দিন এ আবেদন করেন। 

গত ২২ জুন একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘ডিআইজি জামিল হাসান যেন আরেক ভূস্বামী’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি জামিল হাসান ২০২১ সালে র‌্যাব-৮ এর বরিশালে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় তিনি গোপালগঞ্জের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কিনতে তদারকি করেছেন। এই অবস্থায় ডিআইজি জামিল হাসানের বিষয়ে বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করা আবশ্যক। চিঠিতে বলা হয়, যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি জামিল হাসান রিসোর্ট করার জন্য উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের একটি মাঠই কিনে ফেলেছেন। সেখানে তিনি একটি রিসোর্ট বানানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন। অন্তত ৪০ একর অর্থাৎ ১২০ বিঘার মতো জমি কিনেছেন গত তিন-চার বছরে। আগে এগুলো ছিল ধানি জমি।

বর্তমানে ওই জমির একটা অংশ ভরাট করা হয়েছে। বাকি জমি ভরাটের কাজ চলছে। ভরাট করা জমিতে একটি টিনশেড বাড়ি বানানো হয়েছে। সেখানে মুরগি পালন করেন ওই জমির দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী। এর পাশেই আছে অন্তত ৩৬ বিঘা জমির উপর গরুর খামার। এর সঙ্গে আছে গরুর হাট, যে হাট থেকে ইজারা নেন তারাই। তার এসব জমি বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। এর বাইরে ঢাকায় তার আছে দু’টি ফ্ল্যাট, এর একটিতে তার পরিবার বসবাস করে। অন্যটি প্রস্তুত হচ্ছে। গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি এই সম্পদ করেছেন।

বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ২০তম ব্যাচে এএসপি হিসেবে জামিল হাসান যোগদান করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করেছেন তিনি। ছিলেন ক্ষমতার সর্বোচ্চ মহলের আশপাশে। চার বছরেরও বেশি সময় তিনি ফরিদপুরের এসপি হিসেবে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন। ২০২১ সালে তিনি র‌্যাব-৮ এর (বরিশাল) কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় গোপালগঞ্জে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কেনাতে তদারকি করেছেন। সে সময়ের পুলিশ প্রধানের বিশ্বস্ত হওয়ার কারণে তার প্রভাব ছিল অনেক বেশি। অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি চরম দুর্ব্যবহার করেছেন।


আমার বার্তা/এমই