গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকসহ ২ নারীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক ঘটনায় পোশাক শ্রমিকসহ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে ওই দুই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে উপজেলার পূর্ব চান্দরা (মুন্সিরটেক) এলাকায় মুকুলের ভাড়া বাসা থেকে মারিয়া আক্তার স্মৃতি এবং আরাবাড়ী এলাকায় শামসুল হকের ভাড়া বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক ফাতেমা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হলেন: ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মারিয়া আক্তার স্মৃতি (২১) এবং ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলোক ছবি গ্রামের খলিল মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার (৪০)।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার স্মৃতিকে নিয়ে কালিয়াকৈরে আসেন। স্বামী-স্ত্রী উপজেলার পূর্ব চান্দরা (মুন্সিরটেক) এলাকায় মুকুলের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। 
 
নিহত স্মৃতির স্বামী শহীদুল ইসলাম সেলুন ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। শনিবার দুপুরে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হলে স্বামী শহিদুল ইসলাম কাজে চলে যান। পরে মারিয়া আক্তার স্মৃতি ঘরে দরজা লাগিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে আত্মহত্যা করেন।

সন্ধ্যায় স্বামী বাসায় ফিরলে ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে স্মৃতিরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করে।

অপরদিকে, কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানান, মনির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরের আরাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এর আগে ফাতেমা আক্তারের আরও দুই বিয়ে হয়েছিল। মনির হোসেন তার তৃতীয় স্বামী। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক বিয়ে নিয়ে হয়তোবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এর জেরে পোশাক শ্রমিক ফাতেমা আক্তার টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

আমার বার্তা/এল/এমই