রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর সমাধান খুঁজে বের করার আশা প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সমাধান বের করতে সক্ষম হবো।’

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের হোটেল বে ওয়াচে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে প্রফেসর ইউনূস দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কে সামনে রেখে। এক বছর আগে আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এখন আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। এক বছরের মধ্যে দেশ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত ও স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। তাই আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর বিষয়টি আমাদের আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।’

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা সংকটকে আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তার প্রথমটি ২৪ আগস্ট শুরু হবে, এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বড় সম্মেলন হবে জাতিসংঘে। সেখানে আশা করছি ১৭০টি দেশ অংশ নেবে। তারপর আমরা আরেকটা বড় সম্মেলন আশা করছি কাতারের দোহায়।

প্রেস সচিব জানান, রোহিঙ্গারা যে মানবিক সংকটের মুখোমুখি, সেটিকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা সহজ নয়। এ জন্য কক্সবাজারে আয়োজিত সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের কথা বলার সুযোগ পাবেন। 


আমার বার্তা/জেএইচ