খুলে দেওয়া হলো ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রোববার ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি পিআইডি

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংযোগস্থল গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে, সময়ও কম লাগবে। 

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের এ অংশ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

২০২২ সালের মে মাসে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তরের সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনের সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বড় শহরগুলোতে এ রকম বাইপাস করতে হবে, যাতে যানজটমুক্ত রাখা যায়। তবে সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং টেকনোলজি বাড়াতে হবে। যেন বছর বছর সড়ক খারাপ না হয়। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি, সব রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, চলাচল করা যাচ্ছে না। সিলেট থেকে আমি প্রায় প্রতিদিনই ফোন পাই রাস্তা খারাপের বিষয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব জায়গায়, সব সময় বলি আর কতকাল বাইরে থেকে লোক এনে রাস্তা বানানো হবে। কতকাল বাইরে থেকে লোক এসে সেতু, রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে। এ জন্য আমাদের দেশের প্রকৌশলী দিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আমাদের বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে ক্রমেই মুক্ত হতে হবে। আর আমাদের প্রকৌশলীরা যদি চান, ৩০-৪০ শতাংশ ব্যয় কমাতে পারেন।’

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১৮ কিলোমিটার অংশে আংশিকভাবে টোল আদায় শুরু হচ্ছে। যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই অংশে কোনো ইউ টার্ন থাকবে না।

এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এটি দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি বিকল্প রুট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন প্রমুখ।


আমার বার্তা/এমই