খুলনায় অকার্যকর দুই শতাধিক স্লুইস গেট, জলাবদ্ধতার আশংকা

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

খুলনা অঞ্চলের দুই শতাধিক স্লুইস গেট দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এসব গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ফসল চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

ডুমুরিয়ার শোলমারি নদীর ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি পানি প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বছরের বেশিরভাগ সময় পলি জমে মুখ বন্ধ থাকে। সম্প্রতি পাম্প বসিয়ে পলি সরানোর কাজ শুরু হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
 
জেলার মোট ৫৯৮টি স্লুইস গেটের মধ্যে দুই শতাধিক অকার্যকর হয়ে রয়েছে। কোথাও কচুরিপানা, কোথাও ভাঙা কপাট, আবার কোথাও গেটের সামনের খাল ভরাট হয়ে গেছে। পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হওয়ায় আশপাশের এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে এবং কৃষকদের ক্ষতির মুখে ফেলছে। স্থানীয় কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গেট দিয়ে পানি বের হতে পারছে না। ফলে জমিতে পানি জমে থাকে, ধান নষ্ট হয়ে যায়।’
 
আরেক কৃষক রহিম মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘পলি আর কচুরিপানায় গেট বছরের পর বছর বন্ধ। কেউ এসে খোঁজও নেয় না।’ ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা সেলিনা বেগম বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় ঘরেও পানি ঢুকে যায়। চাষাবাদ তো দূরের কথা, বাড়িতে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
 
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘কিছু স্লুইস গেট সংস্কার ও নতুন কয়েকটি নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদনে সময় লাগে। আমরা আশা করি, নতুন ও সংস্কারকৃত গেটগুলো কার্যকর হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।’
 
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, অকেজো এসব স্লুইস গেটের কারণে জলাবদ্ধতায় প্রতি বছর এ অঞ্চলে ৪০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে খুলনা অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
 
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত স্লুইস গেটগুলো কার্যকর করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

আমার বার্তা/এল/এমই