ময়মনসিংহে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ময়মনসিংহ নগরীতে টানা ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় নগরীর পথচারীরা চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর পাটগুদাম থেকে কাচারি সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আকস্মিক এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, শিশু বলৎকার ও মাদারাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিগত কিছুদিন আগে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার হন বোররচরের হুজুর মাওলানা আজিজুল হক। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে বর্তমান দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম অভিযোগ তদন্তপূর্বক মাওলানা আজিজুল হকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে মুফতি মোফাজ্জল হককে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কার করেন এবং মুফতি সারোয়ার হোসেনকে মাদরাসার উপধাক্ষ পদ থেকে অপসারণ ও পরিচালনা কমিটি থেকেও সরিয়ে দেন। এ খবরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল থেকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে ডিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সাড়া না দেওয়ায় সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা মাদরাসা সংলগ্ন পাটগুদাম টু কাচারি সড়কে অবস্থান নিয়ে ডিসির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

আন্দোলনকারী মাদরাসা শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম ও নাজমুস সাকিব জানান, একটি মহল বহিষ্কৃত শিক্ষক আজিজুল হকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাদের বড় হুজুরের (আব্দুল হক) বিপক্ষে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে ডিসির কাছে মূল ঘটনা পাশ কাটিয়ে যায়। এতে ডিসি প্রভাবিত হয়ে শিশু নির্যাতনকারী বহিষ্কৃত শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মুফতি মোফাজ্জল হককে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে আমাদের উপাধাক্ষ মুফতি সারোয়ার হোসেনকে পদ এবং মাদরাসার পরিচালনা কমিটি থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপসারণ করেছে। এছাড়াও ডিসি আমাদের হুজুরদের শাসিয়ে অপমান অপদস্থ করেছেন। অবিলম্বে ডিসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদরাসার বড় হুজুর মাওলানা আব্দুল হক নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য ধরে রাখতে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। মূলত এ কারণেই বেশ কয়েক দফা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে মাওলানা আব্দুল হকের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম এবং মাওলানা আব্দুল হকের বক্তব্য জানা যায়নি।

এদিকে সড়ক অবরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত সৃষ্ট সমস্যার সামাধান হবে।


আমার বার্তা/এল/এমই