মেঘনার ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে চরবংশী ইউনিয়ন

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ১৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙনে বিপাকে পড়েছেন চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমের অস্বাভাবিক জোয়ারে এ ভাঙন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। নদীর উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ওই ইউনিয়নের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র আলতাব মাস্টার ঘাটসহ শত শত গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ঘরবাড়ি-দোকানপাট নদী গর্ভে হারিয়ে চরবংশী ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রায়পুরের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র আলতাফ মাস্টারের ঘাট। এতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চরবংশী ইউনিয়নের মানচিত্র। নদীর ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় ও অব্যাহত বালু ক্ষয়ে ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গত ১০ বছরের ব্যবধানে চরবংশী মৌজার কয়েক হাজার একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ঘরবাড়ি, পর্যটন কেন্দ্র, শত শত দোকান, স্কুল-মসজিদ।

তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হলেও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিং এবং নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।

দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে দোকানপাটসহ, বিভিন্ন স্থাপনা ও কয়েকশ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। অবিলম্বে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংসশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের্ নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ্জামান খান বলেন, শুধু পর্যটন কেন্দ্র আলতাফ মাস্টারের ঘাট নয়, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মেঘনার নদী ভাঙন স্থানগুলো পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আমার বার্তা/এল/এমই