নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা ওয়াদুদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ১৬:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গনেশপুর মৌজায় ১১.৮০ শতক জমির সৌদি প্রবাসী ডাঃ রফিকুল ইসলামের কাছে গনেশপুর মৌজার স্থানীয় নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা ওয়াদুদ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে মর্মে রংপুর সিটি কর্পোরেশন কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী ডাক্তার রফিকুল ইসলাম প্রায় ০২ বছর পূর্বে  আরপিএমপি কোতয়ালী থানাধীন গণেশপুর মৌজাস্থ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্বে জনৈক ডাঃ আঃ সালাম গংদের এর নিকট থেকে ১১.৮০ শতক জমি ক্রয় করে প্রাচীর নির্মাণ করে রাখেন। কিছুদিন পর রফিকুল ইসলাম তার জমিতে সেমি পাকা ঘর তৈরী করেন এবং কিছু দিনের জন্য কাজ বন্ধ করে রাখেন।

গত ১২/০৫/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় তার নির্মাণাধীন বাড়িতে আরো কাজ করার জন্য মিস্ত্রিদের নিয়ে গেলে সালাম, ওয়াদুদ, সুলতান, নেজাম গং তার নির্মাণাধীন বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং মিস্ত্রিদের কাজ বন্ধ করে দেয়,তখন দুই পক্ষের বাকবিতন্ধসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগলি ও এক পর্যায়ে সালাম ওয়াদুদ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে।এবং তারা বলে যদি চাঁদা প্রদান না করে তাহালে তাকে তার  ক্রয়কৃত জমিতে কাজ করতে দিবে না বলিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে  গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় রফিকুল ইসলামের  নির্মাণাধীন বাড়ীর মেইন দরজার দুটি পার্টের মধ্যে এক পার্ট, মূল্য অনুমান ১৬,০০০/-(ষোল হাজার) টাকা এবং জমিতে থাকা এক হাজার নতুন ইট, মূল্য অনুমান ১১,৫০০/-(এগার হাজার পাঁচশত) টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। উপরোক্ত বিবাদীগন রফিকুল ইসলামের নির্মাণাধীন ঘরের কাচা দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে অনুমান ৩২,০০০/-(বত্রিশ হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে।

এই বিষয়ে ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এখন হুমকির মুখে কি বলব বুঝতে পারছি না,  আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে আমি এই জমিটি কিনেছি, আমার সাথে এরকম করার কারণ আমি বুঝতেছি না আমি  ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ সকল বেলা আমি আমার নির্মাণাধীন বাড়ীতে গিয়ে আশেপাশের লোকজনদের ঘটনার বিষয় জানাইলে তাহারা ঘটনাস্থলে এসে দেখে।

উপরোক্ত বিবাদীগন আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করে চাঁদার টাকা সংগ্রহ করেছি কিনা জিজ্ঞাসা করে চাপ প্রয়োগ করে আসিতেছে। আমি যতক্ষন পর্যন্ত বিবাদীদের চাঁদার টাকা না দেই ততক্ষন পর্যন্ত কাজ করতে দিবে না মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। আমার জমির তফসিল উল্লেখ করলাম জেলা-রংপুর, থানা-কোতয়ালী, মৌজাঃ গণেশপুর, জেএল নং- ৯৫, সি এস খতিয়ান নং-৪৬৮, এস এ খতিয়ান নং-৪৬২, আর এস খতিয়ান নং-১৬৯৬, সাবেক দাগ নং-৪৬ এ জমি ১০.০০ ও ৪৫ দাগে জমি ১.৮০ যাহার হাল দাগ নং-১৮৩৭/১৮৭৯ দুই দাগে মোট জমি ১১.৮০ শতক।

ভুক্তভোগি থানায় অভিযোগ করেন, প্রশাসনিক ভাবে আইনের মাধ্যমে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশাবাদী।

 

আমার বার্তা/মো.নুর জামাল হক জেলা  প্রতিনিধি/এল/এমই