চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গড় অপেক্ষমাণ সময় কমেছে: বন্দর চেয়ারম্যান
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গড় অপেক্ষমাণ সময় উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ কনটেইনার জাহাজ বহিঃনোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই জেটিতে ভিড়ছে, কখনও কখনও অন-এ্যারাইভ্যাল ভিত্তিতেও জেটিতে ভিড়ানো সম্ভব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে বন্দরে মোট ৩ হাজার ৫৮টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চালচিত্রকে উপস্থাপন করে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা বৃদ্ধির কারণে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। আগামী পাঁচ বছরে ৫ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যা ২০২৯ সালে অপারেশনে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভৌত ও প্রযুক্তিগত কাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে নতুন কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ, রাসায়নিক সংরক্ষণের জন্য আধুনিক শেড নির্মাণ এবং কর্ণফুলী নদীর পাড়ে ২৮৫০ মিটার রেভেটমেন্ট কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও বন্দরে মোবাইল ক্রেন, হেডি ট্রাক্টর, লো বেড ট্রেইলার ও মাল্টি হ্যান্ডলারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আরও ১২টি হাইড্রোগ্রাফিক জাহাজ ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে বন্দরের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বন্দর চেয়ারম্যান।
আমার বার্তা/এমই