নাফ নদীর ওপারে ফের বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল সীমান্তবর্তী এলাকা
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

প্রায় ১৭ দিন বিরতির পর কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এতে কেঁপে উঠেছে এপারের সীমান্তবর্তী এলাকার বাড়িঘর ও স্থাপনা। আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরপরই এপার থেকে মংডু শহরে আগুনের কুন্ডলী দেখা গেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ।
এ দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনীর গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিকট বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইল্ল্যারবিল ও আছারবনিয়া সীমান্তের ঠিক ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরে বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা গেছে।
এ বিষয়ে সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ বলেন, প্রায় ১৭ দিন বিরতির পর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে এসেছে। রাত সোয়া ৮টার দিকে আকস্মিক বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা যায়। আর বিস্ফোরণের শব্দটি শোনার পরপরই মংডু শহরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার সময়ও এপার থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে।
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
বিজ্ঞাপন
যদিও টেকনাফের লেদা, জালিয়াপাড়া ও চৌধুরী পাড়াসহ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকাতেও বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা যায় বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা আব্দু সালাম বলেন, রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন বিরতির পর আকস্মিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারের বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা কেঁপে ওঠে। এতে সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে বসতঘরসহ নানা স্থাপনা কেঁপে ওঠার ঘটনার পরপর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সীমান্তে টহল ও নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমার বার্তা/জেএইচ