ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৫:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড (খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তিন শিফটে ওই কারখানায় প্রায় সাড়ে চারশ শ্রমিক কাজ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের হোতাপাড়া এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে তারা কারখানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, আন্দালনরত শ্রমিক, শিল্পপুলিশ এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আন্দালন চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চালক, যাত্রী ও স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ, শিল্পপুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নেয়। পরে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দালনরত শ্রমিকরা বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদ এলে মালিক ও কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন বোনাস নিয়ে এরকম টালাবাহানা করে থাকেন। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আসন্ন ঈদ বোনাসও এখনও দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময় বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসসহ সব পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। থানা, শিল্পপুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা মহাসড়ক থেকে সরে এসেছি। তারা আমাদের বলেছে, আজ বিকালের মধ্যে বোনাসসহ আমাদের সব পাওনা পরিশোধ করে দেবে। এ মুহূর্তে সব শ্রমিক কারখানার অভ্যন্তরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বোনাসসহ বকেয়া পাওনা না দিলে আমরা কারখানা থেকে যাবো না।’
এদিকে, গাজীপুর শিল্পপুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মার্চ মাসসহ দুই মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে। সড়ক অবোধের খবর পেয়ে থানা, শিল্পপুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়েছেন। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যেন আজকের মধ্যেই শ্রমিকদের বোনাসসহ সব বকেয়া যাওনা পরিশোধ করা হয়।’
ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড (খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মুকিত হোসাইন বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি সঠিক নয়। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে গতকাল বিকাল থেকে বেতন দেওয়া শুরু হয়েছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং টাকার অঙ্ক বড় হওয়ায় কিছু শ্রমিকের বেতন বাকি ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা আনার পর বেতন দেওয়া শুরু হবে।’
আমার বার্তা/এমই