আইনজীবী হত্যায় চট্টগ্রামে আরেকজন গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি’ যুক্ত আরেকজনকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিপন দাশ (২৭) কোতয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার হরিশ চন্দ্র লেইনের মৃদুল দাসের ছেলে। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তারেক আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই যুবক আইনজীবী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজে নীল গেঞ্জি পরিহিত রিপনকে বটি হাতে দেখা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি পুলিশ। আইনজীবী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নগর পুলিশের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের দিনে হাতে বটি ছাড়াও নিল গেঞ্জি, হেলমেট, জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিলেন।
এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে ভৈরব থেকে চন্দন দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তি কিরিচ হাতে অংশ নিয়েছিলেন তিনিই চন্দন। এর আগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়। আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।
আমার বার্তা/এমই