পানি বাড়া-কমার সঙ্গে ভাঙছে কুড়িগ্রামে নদ-নদী

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে কুড়িগ্রামে তীব্র হয়ে উঠেছে ভাঙন। ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের অন্তত ২৫টি পয়েন্টে প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন বাসিন্দারা।

অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলায় নষ্ট হয়ে গেছে একরের পর একর পটল ক্ষেত, আউশ, রোপা আমন বীজতলা ও চিনা বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। এতে দিশেহারা কৃষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অবিরত ভাঙছে নদী। একের পর এক কব্জায় নিচ্ছে ভিটে মাটি ও গাছপালা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা বাসিন্দারা। অনেকেই নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছেন তিল তিল করে সাজানো ঘরবাড়ি।

পানি বাড়া-কমার প্রভাবে আগ্রাসী রূপে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহমান ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদী।

বর্ষার শুরু থেকে রাজারহাট, সদর, রৌমারীর অন্তত ২৫টি পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক মাসে বিলীন দুই শতাধিক ঘর-বাড়িসহ কয়েক একর ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় হতাশ নদী পাড়ের মানুষ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, বর্ষার শুরু থেকে ধরলার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমার বাড়িও হুমকিতে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সব জায়গায় যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকা সংখ্যা বাড়ছে। আমরা ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।’

এদিকে, সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টি ও বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে জেলার পটল ক্ষেত। এখনও পানি নিচে চর ও নিম্নাঞ্চলের আউশ, রোপা আমন বীজতলা, চিনা বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। এতে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকরা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের সহায়তা করা হবে।


আমার বার্তা/জেএইচ