মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

মুন্সীগঞ্জে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার লোকজনের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী হোসেন সরকারের লোকজনের এলাকায় আধিপত্য নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল।

এর জেরে দুপুর ১২টার দিকে বকুলতলা উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সুরুজ মিয়ার অনুসারী হানিফ দেওয়ান ও শামীমের নেতৃত্বে আলী হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয় ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে শাকিল (২২), জুয়েল (২৫) ও আয়নাল (৩৫) নামে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরে এ ঘটনার জেরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী হোসেনের লোকজন ওই গ্রামের প্রতিপক্ষের ৫টি দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শাকিল ও জুয়েলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে আলী হোসেন সরকার বলেন, বকুলতলা এলাকায় সুরুজ মিয়ার লোকজন অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে আমাদের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয় ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া বলেন, আমার সমর্থকদের প্রায় ৭টি দোকান ভাঙচুর ও প্রায় ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আলী হোসেনের লোকজন। এতে আমাদের ৪-৫ জন আহত হয়েছে। আর গোলাগুলির বিষয়ে আমি জানি না।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আমার বার্তা/এমই