ডা. আতিকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, নিভে গেল তরুণ হেলালের প্রাণ
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২১ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

অর্থলোভে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও কাকরাইল ইসলামি ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. কে এম আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার অপচিকিৎসার শিকার হয়ে নিভে গেছে ঢাকা পাওয়া ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তরুণ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের প্রাণ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হেলালের পরিবার ও স্বজনরা।
এসময় হেলালের ছোট বোন উম্মে ছাবেরীন স্মৃতি বলেন, বাম চোখে ঝাপসা দেখতে পেতেন এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে ডা. আতিকের কাছে গেলে ভুল চিকিৎসার শিকার হন এবং দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা এই চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং চিকিৎসাখাতের পরিবর্তন চাই। এভাবে আর কত প্রাণ নিভে যাবে, কে নিবে দায়? আমার ভাইয়ের দুটি সন্তান এখন এতিম হয়ে গেছে। আমরা এই চিকিৎসকের বিচার এবং লাইসেন্স বাতিল চাই।
হেলালের মামা মোহাম্মদ আসাদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ডা. আতিকের অপারেশনের আগের এবং পরের কথার সাথে মিল ছিল। তিনি মিথ্যা এবং চল-ছাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। ডা. আতিক বলেছিল, এটি ছোট অপারেশন এবং তিনদিনের মধ্যে রোগী হেঁটে বাসায় যেতে পারবেন। অপারেশন করার পর ডা. আতিক বলেন, এটি বড় অপারেশন ছিল এবং আপনারা দোয়া করেন।
তিনি বলেন, আমরা সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট চেয়েছি, তাও দেয়নি ডা. আতিক। এই চিকিৎসক রিপোর্ট গায়েব করে দিয়েছে। অপারেশনের সময় কোন কোন চিকিৎসক ছিল, তাও জানায়নি।
লিখিত বক্তব্যে হেলালের বোন ছাবেরীন স্মৃতি বলেন, হেলালের এমআরআই রিপোর্টে উল্লেখ আছে তার ব্রেনে ছোট সাইজের (৩.৬৬০২.৬৪০২.১৮) সে. মি. (Macroadenoma of pituitary gland) টিউমার আছে। গত ১২ জুলাই রাতে ডা. আতিকের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে সাক্ষাৎ করেন। ডা. আতিক হেলালের এমআরআই রিপোর্ট দেখে বলেন, এটা দ্রুত অপারেশন করতে হবে। নাকের ভিতরে একটা পাইপ দিয়ে এন্ডোস্কপিক সার্জারীর মাধ্যমে টিউমারটি তিনি অপারেশন করবেন। এটা একটা মাইনর অপারেশনে, এতে কোন কাঁটা ছেঁড়া ও ঝুঁকি নাই। তিনি জাপানে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বাংলাদেশের একমাত্র এন্ডোস্কপিক নিউরোসার্জন। তিনি আরও বলেন, আমি শত শত এ ধরনের অপারেশন করেছি। ৪ (চার) দিন পর হেলাল হেঁটে অফিস করতে পারবেন এবং সুস্থ হওয়ার শতভাগ গ্যারেন্টি দেন। এই সার্জন হেলালের এ ধরনের আপারেশনে কোন ধরনের ঝুঁকি থাকতে পারে এমন কথা একবারও বলেননি।
তিনি বলেন, হেলাল নিউরোসাইন্স হাসপাতালে অপারেশন করতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ঐখানে তো আপনারা ৩ মাসেও সিরিয়াল পাবেন না। তাছাড়া সেখানে জুনিয়ররা আপারেশন করবে এবং মেশিনপত্রও ভালো না। নিউরোসাইন্সের খরচও এখানকার প্রায় কাছাকাছি। হেলাল তার ছোট শ্যালিকার ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় অপারেশনটি উক্ত তারিখের পরে যে কোন সময়ে করতে চাইলে প্রতারক এই চিকিৎসক হেলালকে তার বাম চোখ অন্ধ হওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে সময়ক্ষেপন না করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের মনে ভয় ছিল রোগীকে সময় দিলে এ রোগী তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এতে তিনি কাঙ্খিত অর্থ উর্পাজন থেকে বঞ্চিত হবেন। এক পর্যায়ে হেলালের চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে চাই বললে, তখন এই চিকিৎসক মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি ও ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে বলেন, দেশের বাইবে কেন যাবেন? অনেকেই বিদেশ থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে আমার কাছে অপারেশন করেছে।
ছাবেরীন স্মৃতি বলেন, ওদের (বিদেশ) চেয়ে আমি ভাল কাজ করি এবং এধরনের একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে হেলালকে পরের দিন ভর্তি হয়ে যেতে বলেন। চিকিৎসক অপারেশন ব্যয় বাবদ প্যাকেজ মূল্য দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা দাবি করেন। তখন উপস্থিত সবাই দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিতে বলা হয়। হেলাল তখন সার্জনের কথায় পূর্ণ আস্থা ও সরল বিশ্বাসে অফিস থেকে পাঁচ দিন ছুটি নিয়ে ১৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে কোন প্যাকেজ নাই। সার্জন ফি আলাদা এবং হাসপাতালের বিল আলাদা। তখন হেলাল একটি নন এসি কেবিনে ভর্তি হতে চাইলেও সেখানকার কর্মীরা নন এসি কেবিনগুলো নিজেদের হাতে সংরক্ষিত রেখে বেশী দামের এসি কেবিন নিতে হেলালকে বাধ্য করেন। বাধ্য হয়ে হেলাল ৯৩০ নম্বর এসি কেবিনে ভর্তি হয়। ভর্তির সময় হেলালের রক্ত চাপ বেশী ছিল। পরদিন ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখও তার রক্ত চাপ বেশী ছিল কিন্তু অন্য সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক ছিল অর্থাৎ মাথায় ছোট টিউমারটি ছাড়া হেলালের কোথাও কোন সমস্য নেই। বেশি রক্ত চাপ থাকা সত্বেও এই সার্জন ঐদিনই তার অপারেশন করেন।
ছাবেরীন স্মৃতি বলেন, অপারেশন শেষ করে বিষন্ন মুখে এই সার্জন বের হয়ে বলেন, একটা মেজর অপারেশন হয়েছে, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। একটা টিউমার সম্পূর্ণ এনেছি। আর অন্যটি যেটুকু আমার ক্যামেরায় দেখা গেছে সেটুকু এনেছি। কিছু অংশ রয়ে গেছে। আগামী ২দিন হেলারের জন্য বিপদজনক সবাই আল্লাহকে ডাকেন। সার্জনের অপারেশনের পর এ ধরনের ভাষ্যেই প্রতীয়মান হয় তিনি অপারেশনের সময় এমন কিছু ঘটিয়েছেন যে, হেলাল আর বাঁচবে না। এমআরআই রিপোর্টে ১টি ছোট টিউমারের বিবরন থাকলেও তিনি ২টি টিউমার অপসরনের কথা বলেন, যা তার অদক্ষতা ও ভুল অপারেশনের প্রমান। এছাড়া সার্জনের সাথে স্বাক্ষাৎকালে এটাকে মাইনর অপারেশন বলেছিলেন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষনিক সার্জন তার ফি পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। রোগীর লোকজন তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পূর্ন ফি এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা এক সঙ্গে দিতে হবে। সার্জন অপারেশনের পরে আমাদের কোন অপসারণকৃত টিউমারের স্যাম্পল বায়োপসি করার জন্য দেননি। পরদিন ছোট ২টি ব্রেন টিস্যুর স্যাম্পল দেওয়া হয় বায়োপসি করার জন্য।
লিখিত বক্তব্যে স্বজনরা জানান, অপারেশনের পরে সাধারন পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে অন্যান্য সাধারন রোগীর সাথে ব্রেনে সার্জারী করা হেলালকে রাখা হয়। অপারেশন শেষে ১ ঘন্টার মধ্যেই তার জ্ঞান ফিরিয়ে এনে সার্জন ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রেকর্ড করে রাখেন, রোগী বেঁচে আছে দেখানোর জন্য। কিন্তু সেই ভিডিওতে দেখা যায় রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। পরদিন সকালে রোগীর জ্ঞান ফিরলে তাকে স্যুপ ও জাউ ভাত খেতে দেওয়া হয়। রোগীর নাকে একটি মোটা পাইপ লাগানো থাকা সত্ত্বেও তাকে ওরাল ঔষধ ও খাবার দেওয়া হয়। এতে রোগীর খুব কষ্ট হচ্ছিল। দায়িত্বরত সেবিকাদের অবগত করলে তারা জানান, সার্জন এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তারা বলেন, ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ রাতে হেলালের ব্রেইনের ১টি সিটি স্ক্যান করা হয়, উক্ত ফিল্ম সার্জন দেখেন কিন্তু রোগীর স্বজনদের দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ২৯ জুলাি ২০২৫ ও ১০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল ব্যাংক হসপিটাল পরিচালক বরাবর আবেদন করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তারা আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ রাত আটটার দিকে সার্জনকে তার চাহিদা অনুযায়ী ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করার সময় তার নিকট রোগীর অবস্থা জানতে চাওয়া হয়। এই সার্জন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রোগী অবস্থা তো আপনারাই আমাকে বলবেন। রাত একটু বেশী হলে রোগীর কোন এ্যাটেনডেন্টকে রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হয় না। ২-৩ জন অল্প বয়সী অদক্ষ নার্স পোস্ট অপারেটিভে ডিউটিতে থাকেন। অপারেশনের রাতে ও পরের দিন রাতে রোগীর মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হয়, ফলে রোগী তার নাকের পাইপ টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এটা দেখার বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ ছিল না।
পবিরার জানায়, পরের দিন সকালে আমরা রোগীকে আংশিক অচেতন এবং নাকে পাইপ বিহীন দেখতে পেয়ে, এ বিষয়ে সেবিকাদের কাছে হেলালের এটেনডেন্টরা জানতে চাইলে তারা জানান, এ বিষয়ে সার্জনের সাথে কথা হয়েছে কোন অসুবিধা নেই। রোগী ঘুমাচ্ছে তাকে বিরক্ত করবেন না। ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখ সারাদিন হেলাল ধীরে ধীরে অচেতন থেকে আরো অচেতন হতে থাকে। আত্মীয় স্বজনেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বার বার সেবিকাদের অবগত করলে তারা জানান, সার্জনকে ভিডিওকলে দেখিয়েছেন রোগীর অবস্থা। সার্জন ভিডিওকলে রোগী দেখে কিছু ঔষধ পরিবর্তন করে দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেছেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি হতে থাকে। রাত আটটার দিকে ডা. আতিকএসে হেলালকে পূনরায় ওটিতে নিয়ে উপস্থিত স্বজনদের সবাইকে ডেকে কাউন্সিলিং করেন, অপারেশনের পরে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখন ঔষধে না কমলে মাথার পানি বের করার জন্য ফুটা করে একটি ড্রেন লাইন করতে হবে, সবার দোয়া চাই। রাত ১১টার দিকে রোগীকে এ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই মাথায় ফুটা করে ড্রেন লাইন করে দিয়ে সার্জন চলে যান। হেলাল সারা রাত অচেতন অবস্থায় পোস্ট অপারেটিভে পড়ে থাকে এবং সকালে তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলেও পোস্ট অপারেটিভের কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখ সকাল দশটার দিকে হেলালের ছোট চাচা এসে হেলালের অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার কথা বলেন। তখন ডিউটি ডাক্তার ও নার্সরা তাকে আইসিইিউতে প্রেরণ করেন এবং সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে আইসিইউতে হেলাল মৃত্যুবরণ করেন।
ছাবেরীন স্মৃতি বলেন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল বিল এক লক্ষ পয়ষট্টি হাজার আটশত আঠার টাকার জন্য লাশ আটকে রাখেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত বিল আংশিক কমিয়ে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার ছয়শত পঞ্চাশ টাকা বুঝে নিয়ে বিকেল চারটার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হেলালের লাশ হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, ডা. কেএম আতিকুল ইসলাম হেলালকে বাঁচানোর জন্য নূন্যতম চেষ্টাটুকু করেননি। অল্প বয়সী একটা সরল বিশ্বাসী ছেলেকে ভুল অপারেশনের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করেন। তিনি চাইলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিউরোসায়েন্সস হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরন করতে পারতেন অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এনে রোগীকে দেখিয়ে পরামর্শ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভেবেছেন এসব করলে তার অর্থ আয়ে ভাটা পরবে এবং তার ভুল চিকিৎসার বিষয়ে দেশবাসী জেনে যাবে। তাই সবকিছু গোপন রেখে সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম হেলালকে নির্মমভাবে চিকিৎসার নামে হত্যা করে মায়ের কোল খালি করেছেন। ডা. আতিকুল ইসলাম এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই হেলালের মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা সেবা পাওয়া রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিকঅধিকার হলেও এ ধরনের লোভী প্রতারক চিকিৎসকদের কারণে দেশের মানুষ হারিয়েছে বিশ্বাস ও নিরাপত্তা। হেলালের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হলেই এধরণের ঘটনায় আর কোন মায়ের বুক খালি হবে না। এ লড়াই শুধু হেলালের জন্য নয় বরং প্রতিটি মানুষের জন্য, যারা চিকিৎসা নিতে গিয়ে অবহেলার শিকার হন। কারণ প্রতিটি জীবন মূল্যবান।
সংবাদ সম্মেলনে হেলালের স্ত্রী সামেনা আক্তার বলেন, আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। দুটি সন্তান এখন আমি কোথায় যাবো। ভুল চিকিৎসা কেন করলো এবং চিকিৎসক প্রতারণার আশ্রয় কেন নিলো। আমাদের সাজানো বাগান নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা চিকিৎসকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
আমার বার্তা/এমই