রাজধানীতে ৩ নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১৬:০১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আলাদা ঘটনায় তিন নারী ও এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তিরা হলেন—রামপুরার সুমি আক্তার (৩৫), কদমতলীর রুহেনা আক্তার (২১), সবুজবাগের তানিয়া (২২) এবং মহাখালীর মুন্না (১৯)।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে চারটি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পিরোজপুর সদর উপজেলার মনেজ হাওলাদারের মেয়ে সুমি আক্তার স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে রাজধানীর রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপাড় এলাকায় বসবাস করতেন। রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খান আব্দুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে সুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সুমি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

রুহেনা আক্তার বরগুনার আমতলী উপজেলার তাজউল্লাহর মেয়ে। স্বামী হামিদুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা এলাকায়। তিনি কদমতলী এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। কদমতলী থানার এসআই মোছাম্মৎ নুসরাত জাহান সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিয়াম রোলিং ফ্যাক্টরির সামনে ২২ নম্বর রোডে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে রুহেনা ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাত ১১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা জানান, তানিয়া জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার আজমল হকের মেয়ে। তিনি সবুজবাগের মাদারটেক বাগানবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তানিয়ার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল, তবে গলায় কোনো দাগ পাওয়া যায়নি। তার বাম কব্জিতে প্রায় দুই ইঞ্চি লম্বা কাটার চিহ্ন ছিল। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

মুন্নার বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলায়। বাবা ইয়াসিনের সঙ্গে থাকতেন মহাখালীর আদর্শনগর এলাকায় এবং পেশায় ছিলেন গাড়ির সহকারী (হেল্পার)। বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মওদুদ কামাল বলেন, মঙ্গলবার নিজ বাসায় ফাঁস দেন মুন্না। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।


আমার বার্তা/এমই