সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শারমিন (৩৫) নামে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন জনে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
নিহতের স্বজন মো. জনি জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই শারমিনের স্বামী সুমন দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আর আজ সন্ধ্যায় মারা গেল সুমনের স্ত্রী শারমিন। এই ঘটনায় সুমনের বড় বোন শিউলিও মারা গেছেন দগ্ধ হয়ে। এদিকে নিহত শারমিনের ছেলে সোয়ায়েদ ও মেয়ে সুরাহা দগ্ধ অবস্থায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের মোট আটজন এখনো চিকিৎসাধীন আছে হাসপাতালে।
আজ সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গত শুক্রবার রাতের দিকে সাভার থেকে শিশু ও নারীসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে শারমিন নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মারা যায়। তার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে সুমন মিয়া আইসিইউতে মারা গেছেন। তার শরীরে ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে শিউলি আক্তার নামে আরও একজন মারা যায়।তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।এখনো ৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতলে দগ্ধ অবস্থায় মোট আটজনের চিকিৎসা চলছে।তাদের মধ্যে সোয়ায়েদের ২৭ শতাংশ দগ্ধ, মনির হোসেনের ২০ শতাংশ দগ্ধ,মাহাদীর ১০ শতাংশ দগ্ধ,ছাকিনের ১৪ শতাংশ দগ্ধ,সোহেলের ১০ শতাংশ দগ্ধ,সুরাইয়ার ৯ শতাংশ দগ্ধ,সূর্য বানুর ৭ শতাংশ দগ্ধ ও জহুরা বেগমের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত দেড়টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলেন-সূর্য্য বানু (৪৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন (৩৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাইয়া (৩)।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই