কামরাঙ্গীর চরে ছারপোকা তাড়ানোর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি লেডিস ব্যাগের কারখানায় ছারপোকা তাড়ানোর ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আবু বকর সিদ্দিক নাঈম (২১)ও মোঃ মোহন (১২) নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নাঈমের পিতার নাম ওজি উল্লাহ এবং নিহত মোহনের পিতার নাম মোঃ আলাউদ্দিন। তারা উভয়েই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তারা কামরাঙ্গীরচর কয়লা ঘাট এলাকায় হাজী শহীদুল্লাহর লেডিস ব্যাগ তৈরির কারখানার কর্মচারী এবং সেখানেই থাকতো তারা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতের দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ সকালের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মোঃ মুসা খান জানান, গতকাল বিকেলের দিকে খবর পেয়ে কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকার জনৈক হাজী শহীদুল্লাহর বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে নিহত ২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই আরও জানান, ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, নিহত ওই দুইজন হাজী শহীদুল্লাহর লেডিস ব্যাগের কারখানার কর্মচারী। ওই কর্মচারীরা যে কক্ষে ঘুমাতো সেই কক্ষে
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতের বেলা ছারপোকা তাড়ানোর ঔষধ ছিটিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখে। কিছুক্ষণ পরেই তারা ওই রুমে প্রবেশ করে রুটি খেয়ে রাতের বেলা ঘুমিয়ে থাকে। পরের দিন নিহত মোহনের এক আত্মীয় দুপুর গড়িয়ে গেলেও তাদের কোন সারা শব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখে বিছানার মধ্যে মোহন ও নাঈম অচেতন দেহ পরে আছে । পরে বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা বিকেলের দিকে ঘঠনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করি।
এসআই আরও জানান প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ওই কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ছাড়পোকা তাড়ানোর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই মুসা।
আমার বার্তা/জেএইচ/এম রানা