রাজধানীতে চাচার বাসায় ঝুলছিল ভাতিজার মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

রাজধানীর বংশাল থানার আগামাসিহ লেনের বাসা থেকে হাসান বেপারী (১৩) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত কিশোর হাসান মাদারীপুর সদরের আদিত্যপুর গ্রামের ফজল বেপারী ছেলে। বর্তমানে,বংশালের ৭৭/৩ আগামাসিহ লেনে চাচার সাথে ভাড়া থাকতো।সে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতো বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আজ দুপুরের দিকে আমার বার্তাকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেন বংশাল থানার উপরিদর্শক(এসআই) মোঃ দুলাল হক। তিনি জানান গতরাতে খবর পেয়ে বংশালের ৭৭/৩ নং আগামাসিহ লেনের চারতলা বাসার একটি কক্ষে   লোহার এঙ্গেলের সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকার মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান,আমরা জানতে পেরেছি নিহত কিশোর মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতো এবং ঢাকায় তার চাচা জুয়েলের সাথে ভাড়া থাকতো। ওই কিশোরের চাচা মাদকাসক্ত ছিলেন। নিহত কিশোরের মামা রিপন ব্যাপারী আমাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে টাকার জন্য তার চাচা প্রায়ই নাকি ওই কিশোরকে মারধর করতো। কিন্তু আমরা ওই কিশোরের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ওই কিশোরের চাচাকে আমরা পুলিশ ফাঁড়িতে রেখেছি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিহতের কিশোরের মামা রিপন জানান, আমার ভাগিনা বংশালে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতো। গ্যারেজ থেকে আমার ভাগিনাকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় গ্যারেজে মালিক,ওই টাকা জোরপূর্বক  নিহতের চাচা নিয়ে নেয় ।এই নিয়ে হাসান  অভিমানে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে নিহতের চাচা জুয়েল হাসানের গ্রামের বাড়ি ফোন দিয়ে বলে যে হাসান এক্সিডেন্টে মারা গেছে। পরে তার বাসা থেকে হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহতের চাচা জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন।আমাদের ধারণা মাদকের টাকার জন্যই চাচা জুয়েল আমার ভাগিনাকে হত্যা করেছে।



আমার বার্তা/জেএইচ/এমরানা