প্রাণ-আরএফএল এর বিরুদ্ধে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের শীর্ষ স্থানীয় গ্রুপ অফ কোম্পানি  প্রাণ-আরএফএল এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নানা ভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে ইসলাম বিদ্বেষী কাজ করে আসছে। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন প্রাণ-আরএফএল এর চাকরিরত ও ধর্ম পালনের কারণে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রেইনবো পেইন্টস এর চাকরিচ্যুত ঢাকা দক্ষিণের এরিয়া ম্যানেজার মো. একরামুল এবং রিটেইল ম্যানেজার মো. জাকির হোসাইনসহ ভুক্তভোগী কর্মীরা।

বক্তারা আরো বলেন, কোম্পানির এ ধরনের কাজ-কর্মে কোনো কর্মী যদি প্রতিবাদ করে তবে তাকে অতিদ্রুত চাকরিচ্যুত করা হয়। শতকরা ৯০% মুসলিমের বাস যে দেশে সেই দেশে বসেই তারা এমন ঘৃনিত কাজ কতই না সহজ ভাবে করে যাচ্ছে, প্রকাশ্যে কোনো এক অশুভ শক্তির প্রভাবে। এটা নিয়ে এদেশের আলেম সমাজ একখনো কেনো নিশ্চুপ তা আমরা জানি না। প্রান-আরএফএল কোম্পানিসহ দেশের অন্য কোনো কোম্পানি যেনো তাদের কর্মীদের মাঝে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ছড়াতে না পারে তার জন্য এ দেশের আলেম সমাজ থেকে শুরু করে সরকার ও জনগনের একান্ত সহযোগিতা এবং অংশগ্রহন কামনা করছি। ইসলাম নিয়ে কেনো এত প্রহশন, এর উত্তর দেশের সকল জনগনকে নিয়ে আমরা তাদের কাছে জানতে চাই।

প্রান-আরএফএল কতৃক ধর্মীয় বিদ্বেষমুলক কিছু কার্যকালাপ নিচে তুলে ধরা হলো।

১.নামাজের সময় অনলাইন মিটিং করা। মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তাকে আলাদাভাবে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ফোনে কনফারেন্সে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা,এবং শিবির বলে ইঙ্গিত করা। ২.শব-ই-কদর,শব-ই-বরাত এ ছুটি থাকা সত্তেও কর্মীদের দিয়ে ফুল ডিউটি করিয়ে নেয়া।
৩.মাহে রমজান মাসে অতিরিক্ত কাজের প্রেসার বাড়িয়ে দেয়া।
৪.তারাবির নামাজের সময় অনলাইনে গুগল মিটে মিটিং করে সবাইকে পরোক্ষভাবে নামাজ পরতে বাধা সৃষ্টি করে।
৫.ইফতারের জন্য আলাদা করে কোনো সময় দেয়া হয় না।
৬.মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্টান পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও ইদ ঊল আজহা র ছুটি নিয়ে অনেক তাল বাহানা করে। পুরো রমজান মাসের ৪ টা শুক্রবারের মধ্যে কম করে হলেও ৩ টা শুক্রবার ডিউটি করিয়ে ছুটি দেয় মাত্র ৩ দিন। ঈদের ২ দিন আগেও কর্মীরা জানে না তাদের ছুটি কবে থেকে। হঠাৎ করে যখন থেকে ছুটি হবে তার ২ ঘন্টা আগে ঈদের ছুটি ঘোষনা করে। যার কারনে আগে থেকে কেউ অনলাইনে বা অফলাইনে বাস, ট্রেন, লঞ্চের টিকেট কাটতে না পারার কারনে পরিবার নিয়ে অনিশ্চিতভাবে নাড়ির টানে বাড়ি রওনা দেয়, বেশির ভাগ কর্মী যাদের পরিবার আছে ছোট বাচ্চা আছে তারা সাহস নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিতে পারে না। কারো ঈদের নামাজ পথেই আদায় করতে হয়।
৭.টুপি পরে কেউ ডিউটি করলে তাকে তার উর্ধতন কর্মকর্তারা বাবা-মা তুলে গালি দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী বলেন, একটি বিতর্কিত সম্প্রদায়কে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ও চাকরিরত অবস্থায় বিশেষ সুবিধা প্রদান করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।


আমার বার্তা/এমই