স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, শিশুকন্যাকেও ছাড়ল না বাবা!

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ তেৎলাব এলাকায় পারিবারিক কলেজের জেরে  স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০) ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৫) কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী নুর জামালের বিরুদ্ধে।

নিহত রোকসানা বরিশালের তরিকাটা গ্রামের আমতলী থানার শাজাহান হাওলাদারের মেয়ে। রোকসানা ও নুর জামাল দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছিল পাঁচ বছরের শিশু জান্নাত ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারাবো পৌরসভার তেৎলাব এলাকায় শহীদ মিজির ভাড়া বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যান শিশুর মা রোকসানা বেগম।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু জান্নাতকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে মারা যায় সে।

নিহত শিশুর খালা সীমা আক্তার জানান, আমার বোন একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। ৮ বছর আগে রোকসানার সাথে আদমজী ইপিজেডে কাজ করার সময় নুর জামালের সাথে পরিচয় ও  প্রেমের সম্পর্ক হয়।একপর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গত একমাস যাবত শরীর অসুস্থ থাকায় আমার বোন গার্মেন্টসে যেতে পারেনি। তার স্বামী নুরজামালও তেমন একটা কাজ কাম করতো না। নুরজামাল আমার বোনকে না জানিয়ে একাধিক বিয়ে করায় স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। গতরাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমার বোনের সাথে তার স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী নূর জামাল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বোনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জান্নাত চিৎকার করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজনরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় নুরজামাল। পরে স্থানীয় লোকজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় আমার বোন ও আমার শিশু ভাগ্নিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায় আমার বোন রোকসানা। এদিকে আজ বিকেলের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার শিশু ভাগ্নিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু জান্নাত।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। অভিযুক্ত স্বামী নুরজামাল পলাতক রয়েছে । আমরা আরও জানতে পেরেছি শিশুটিও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমরা অভিযুক্ত স্বামীকে  আটকের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি যোবায়ের।

 

আমার বার্তা/এম রানা/এমই