শিশু-কিশোরী সুরক্ষায় জাগো ফাউন্ডেশনের নতুন প্রকল্প শুরু

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১৪:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  বিশেষ প্রতিনিধি:

বেকারত্ব, সামাজিক এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানির মতো সমস্যাগুলো সমাধান এবং সম্ভাব্য সুযোগসমূহকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও কিশোরীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের কক্সবাজারে “স্বপ্নের সারথি- সী-শোর গার্লস প্রজেক্ট’ শুরু হয়েছে।
 

বুধবার (২৬ জুন) ইউনিসেফের সহযোগিতা এবং অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটির উদ্বোধন কক্সবাজারের বেস্ট ওয়েস্টার্ন এন্ড হেরিটেজ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

প্রকল্পটি মূলত কক্সবাজার এলাকায় শিশু ও কিশোরী কেন্দ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা তথা সেইফগার্ড মেকানিসম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। এজন্য ইউনিসেফের চাইল্ড প্রটেকশনস স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর অধীনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় একটি সী-শোর গার্লস হাব চালু করা হয়েছে।

প্রকল্পটির আওতায় খেলাধুলা, বিশেষ করে সার্ফিং এর মাধ্যমে মেয়েদের মানসিক বিকাশ, জীবন দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সরবরাহ করবে। তিন বছরের মধ্যে মোট ৩০০ জন কিশোরী মেয়ে এবং তরুণীদের এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা নিরাপদ এবং সহায়ক পরিবেশে নিজেদের ক্ষমতায়ন করতে পারে।

জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর সিনিয়র ম্যানেজার জনাব কামরুল কিবরিয়া অয়ন বলেন, এই প্রকল্পটি কক্সবাজারের যুব সমাজের সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইউনিসেফের সহায়তায়, কক্সবাজার এলাকায় শিশু ও কিশোরীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আমরা সহযোগী সংগঠন হিসাবে কাজ করছি।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জেনারেশন আনলিমিটেডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারিয়ান ওয়েলার্স বলেন, মেয়েদেকে শোষণ এবং সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। স্বপ্নের সারথি প্রকল্পটি সার্ফিং, লাইফগার্ড প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক চিকিৎসা, সাঁতার এবং সফট স্কিলসের মাধ্যমে মেয়েদের দক্ষতা ও ক্ষমতায়ণ বৃদ্ধি করতে কাজ করছে। প্রকল্পটিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।

কক্সবাজার জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন মিলকি বলেন, কক্সবাজারের মেয়েদের জন্য এই উদ্যোগটি একটি চমৎকার সুযোগ হবে। মেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষ প্রশিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে আমরা প্রকল্পটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। প্রকল্পটির উপকারভোগীরা যেন তাদের অর্জিত দক্ষতার যথাযথ ব্যবহার করার সুযোগ পায় সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রকল্পটি জেলা প্রশাসক অফিস, সমাজকল্যাণ সংস্থা, সিএসও, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি), আইন প্রয়োগকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল অফিস ও সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে কমিউনিটির নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এছাড়া কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক মানের সার্ফিং হাব হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান সার্ফিং ক্লাবের সংগঠনিক উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।  

 

আমার বার্তা/এমই