রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ বর্জন
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে পূর্বঘোষিত আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসবমুখর আয়োজন বাতিল করে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ ও অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ দিনটি অনেক আনন্দঘন হতো, যদি স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকতো। অথচ আমরা আজ রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদনে সরকারের উদাসীনতা আমাদের আজ এখানে দাঁড় করিয়েছে। ডিপিপি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৯ বছর ধুঁকছি, আর নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে এমন টালবাহানা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ডিপিপি সাতবার সংশোধন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ যখন যে তথ্য-প্রমাণক চেয়েছে, আমরা তা সরবরাহ করেছি। শুধু তাই নয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ একর ভূমি ব্যবহারে অনাপত্তিপত্র ডিপিপির সঙ্গে সরবরাহ করা হয়েছে। তবুও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় আমাদের মনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অন্য বক্তারা বলেন, ‘৯ বছর অতিক্রম করলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আজও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি। ভাড়া ভবনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নেই আবাসিক সুবিধা, নেই লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও খেলার মাঠ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৫৯৫ কোটি টাকার স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্প অনুমোদনের পরও তা এখনও একনেক সভায় পাশ হয়নি।’
এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই জাতীয় সংসদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন পাস হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর এ দিনটি ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। তবে এবার এ দিনটিকে ঘিরে কোনো উৎসবের আয়োজন না করে আন্দোলনের পথ বেছে নেন তারা।
আমার বার্তা/এল/এমই